খয়রাশোলে শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বহুকাল থেকেই প্রকট। ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ তৃণমূলের ঘোষিত কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে শনিবার সেটা ফের প্রকাশ্যে এল।
এ দিন বিকালে হজপতপুর পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বড়সড় মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। কয়েকশো তৃণমূল কর্মী এবং স্থানীয় নেতারা মিছিল করলেও, সেই মিছিলে ডাক পেলেন না দলের ব্লক সভাপতি। সে নিয়ে কেউ কেউ ক্ষোভের কথা বলেছেন। কেউ বলছেন ভিতরের দ্বন্দ্ব।
মিছিলে অংশ নেওয়া খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী অসীমা ধীবর, দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রলয় ঘোষ, শেখ জয়নাল এবং স্থানীয় নেতা উজ্জ্বল হক কাদেরীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, উনি কাজ করেন না। তাই ওঁকে ডাকা হয় নি।
ঘটনা হল, ১৩ সালে খয়রাশেলের বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা অশোক ঘোষ খুন হন। এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিপক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধই খুনের আসল কারণ। ঠিক পরের বছর খুন হন অশোক মুখোপাধ্যায়ও। কিন্তু খয়রাশোলে রাশ কার্যত চলে আসে অশোক ঘোষের ভাই দীপক ঘোষের হাতে। বিবাদমান দু’গোষ্ঠীর নেতা খুন হওয়ার পরও কিন্তু বিরোধিতা থামেনি। দীপক ঘোষের সঙ্গে বিরোধিতা স্পষ্ট এই করাণেই, মাস কয়েক আগে খয়রাশোলের পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর বিরুদ্ধেই অনাস্থা এনেছিলেন দীপক অমুগামীরা।
শেষ পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিণতি পায়নি। কিন্তু একটি নরম পন্থী ব্লক সভাপতি কখনও দীপক ঘোষের সঙ্গে সখ্যতা রেখে কখনও বিরুদ্ধাচরণ করলেও বিপক্ষে থাকা গোষ্ঠীর কাছের লোক হয়ে উঠতে পারেননি। শনিবারের মিছিল সেই বার্তাই দিল।
যদিও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি খয়রাশোলের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ খোলেনি তৃণমূল নেতৃত্বও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy