ইডি সূত্রে খবর, শুধু অনুব্রতের সম্পত্তির হিসাব রাখাই নয়, নেতার সংস্পর্শে এসে নিজের সম্পত্তিও বাড়িয়ে নিয়েছেন মণীশ। —ফাইল চিত্র।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতারির পর মণীশ কোঠারি কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, তাঁর দোষ একটাই যে, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক। সেই হিসাবরক্ষকেরই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি নিয়ে ধাঁধায় তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, গরু পাচারের অবৈধ টাকায় ওই সব সম্পত্তি কিনে থাকতে পারেন মণীশ।
ইডি সূত্রে খবর, শুধু অনুব্রতের সম্পত্তির হিসাব রাখাই নয়, নেতার সংস্পর্শে এসে নিজের সম্পত্তিও বাড়িয়ে নিয়েছেন মণীশ। এবং সেটা অবৈধ ভাবে।
ইডি সূত্রে খবর, ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল, এই ৬ বছরে বোলপুরের বুকে আনুমনিক ১৫ কোটি টাকার জমি কিনেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি কেষ্টর হিসাবরক্ষক। রূপপুর মৌজা, গোপালনগর, কঙ্কালীতলা, দারোকানাথপুর, সুরুল-সহ বোলপুরের প্রায় সব মৌজাতেই মণীশের জমি রয়েছে বলে খবর। ইডি সূত্রের খবর, ওই সব সম্পত্তির আনুমানিক বাজারমূল্য ১৫ কোটি টাকা।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের গ্রেফতারির পর তাঁর ঘনিষ্ঠদের ডাক পড়ছে ইডির ঘরে। সে ভাবেই মণীশকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। অভিযোগ করা হয়, তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন মণীশ। তবে এখন ইডি সূত্রে খবর, বেশ কিছু বিষয়ে অনুব্রতের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মণীশ। অনেক তথ্যই জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু, শুধুই কি অনুব্রতের হিসাবরক্ষক হয়ে কাজ করে এত টাকা উপার্জন করেছেন তিনি? না কি গরু পাচারের টাকা লেনদেনের পাশাপাশি তার ভাগ মণীশও পেয়েছেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy