বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন ‘দলবদলু’রা তৃণমূলে ফিরতে চাইলে, তাঁদের নেওয়া হবে না। শনিবার বাঁকুড়ায় এমনই দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে ছাত্র সমাবেশে কল্যাণ বলেন, “যে যেতে চাইছে, তাঁকে যেতে দিন। দেখবেন, ফের ভোটে জিতে দিদি যখন শপথ নেবেন, তখন আবার সুড়সুড় করে লাইন দিয়ে এরা তৃণমূলে ফিরে আসতে চাইবে। তবে তখন দিদিকে আমরা সবাই মিলে বলব, ‘আর যা-ই করো, এই বেইমানগুলোকে আর দলে নিও না’’।” দলের ছাত্র এবং যুব সংগঠনের কর্মীদের প্রতি তাঁর বার্তা, “রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের তালিকা কেবল মানুষের ঘরে দিয়ে এলেই চলবে না। ওটা নিজেও পড়তে হবে, ঘরে-ঘরে গিয়ে অন্যদেরও পড়ে শোনাতে হবে।”
বাঁকুড়ার পরে বিকেলে কল্যাণ বিষ্ণুপুর শহরে দলের মিছিলে যোগ দেন। বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় নয় বিদায়ী কাউন্সিলরকে নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এ দিন বিষ্ণুপুর শহরের মিছিল থেকে যাঁরা দল বদলেছেন, তাঁদের কটাক্ষ করেন কল্যাণ।
জেলা রাজনীতির ওঠাপড়ায় ওয়াকিবহালদের দাবি, কিছু দিন আগেই বিজেপি বিষ্ণুপুর শহরে মিছিল করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে। তার উপরে ‘দক্ষ সংগঠক’ হিসেবে পরিচিত শ্যামবাবু দল ছাড়ার পরে, বিষ্ণুপুরে তাদের সমর্থন কেমন রয়েছে, তা দেখানো প্রয়োজন ছিল তৃণমূলের। দলের বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা দাবি করেন, “এ দিন বিষ্ণুপুরে আমাদের মিছিলের ভিড় সবার নজর কেড়েছে। বোঝা যাচ্ছে, মল্লরাজধানীর মানুষ আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন।”
যদিও বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তি দাবি করছেন, “বিষ্ণুপুরে এ দিন তৃণমূলের মিছিলে যা লোক হয়েছিল, আমাদের যুব সংগঠনের বাইক মিছিলে তার তিন গুণ ভিড় হয়েছিল। বিষ্ণুপুরের মানুষ এখন বিজেপির সঙ্গে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy