ওয়ার্ডে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
রোগী মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন পরিজন ও পড়শিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ঘটনা। এ দিন রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বিষ্ণুপুর ব্লকের উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গুমুট গ্রামের বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের ঝড়ু বাগদিকে মোটরবাইকে চাপিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তাঁর ভাইপো নিমাই বাগদি। সেখান থেকে ঝড়ুকে ভর্তি করানো হয় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে। নিমাইয়ের অভিযোগ, ভর্তি করার পর থেকে কোনও চিকিৎসক ঝড়ুকে দেখেননি। ঝড়ুর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তিনি নার্সদের কাছে গিয়ে চিকিৎসককে ডাকতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কর্তব্যরত নার্সরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে। দুপুরে ঝড়ুর মৃত্যু হয়।
ঝড়ুর মৃত্যুর খবর পেয়েই গ্রাম থেকে পরিজন এবং পড়শিরা হাসপাতালে চলে আসেন। তাঁরা সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসকের কাছে এবং বিষ্ণুপুর থানাতেও অভিযোগ করা হয়। এর পরে ফের হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ঝড়ুর স্ত্রী সাবিত্রী বাগদি বলেন, ‘‘কষ্ট পাচ্ছে দেখে নার্সদের হাতে পায়ে ধরলাম। কেউ ডাক্তারকে ডাকল না। উল্টে মুখ ঝামটা দিয়ে দিল।’’ বালসি গ্রাম থেকে রোগী নিয়ে এসেছিলেন প্রদীপ কুণ্ডু। তিনিও সামিল হয়েছিলেন ওই বিক্ষোভে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘নার্সদের খারাপ ব্যবহারে চোখে জল চলে আসে। কিছু বললেই ডাক্তারবাবুরা বলেন, বাঁকুড়া রেফার করে দেবেন।’’
বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের সুপার পৃথ্বীশ আকুলি বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে।’’ তবে তাঁর দাবি, চিকিৎসকেরা ওই রোগীকে দেখেননি বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy