স্কার হচ্ছে উপাসনা গৃহ। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
বিশ্বভারতী পরিদর্শনে আগামী সোমবার, ২৫ অক্টোবর আসছে আইসিওএমওএস (ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস)-এর একটি প্রতিনিধি দল। যাদের মতামতের ভিত্তিতেই ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় শান্তিনিকেতনের নাম ওঠার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। দুই দিনের কিছু বেশি সময় তাঁরা পরিদর্শন করবেন বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বভারতীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান সহ সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস, গ্রন্থাগার, আর্কাইভ ইত্যাদি ঘুরে দেখার কথা রয়েছে তাদের।
এই পরিদর্শনের প্রাক্কালে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতীর দ্রষ্টব্য স্থানগুলিকে যতটা সম্ভব সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। উপাসনা মন্দির সংস্কার, ভেঙে পড়া ঘণ্টাতলার পুনর্নির্মাণ, পুরনো মেলার মাঠের রেলিং নতুন করে রং করা-সহ নানা কাজ চলছে জোর কদমে। তবে পুরাতত্ত্ব বিভাগের কাজ প্রায় এক বছর ধরে চলবে বলে জানান এক আধিকারিক। নবরূপে বিশ্বভারতীকে উপস্থাপন করা নয় বরং সংরক্ষণ ও সংস্কারের পরিকল্পনা ও প্রয়োগকে প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরাই তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সোমবার আইসিওএমওএস-এর একজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও ভারত সরকারের একাধিক প্রতিনিধি আসবেন শান্তিনিকেতনে। তবে বিশ্বভারতীর কোনও অতিথিনিবাসে তাঁরা থাকবেন না বলেই জানা গিয়েছে। বিশ্বভারতীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকেও বসবেন তাঁরা। স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ না থাকলেও প্রতিনিধিরা বিশ্বভারতীর সংস্কৃতিকে দেখতে চাইতে পারেন, আর সেই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে সঙ্গীতভবনের অনুষ্ঠান-সহ আরও কিছু বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনেরও পরিকল্পনা করে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এ দিন জানানো হয়, বিশ্বভারতীর আদর্শ ও ধারণাকে বোঝাতে যে সমস্ত নথি পাঠানোর কথা ছিল, সেগুলি আগেই পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী গোটা বিষয়টিই তত্ত্বাবধান করছে ভারত সরকার। পরিদর্শনের পর আরও একাধিক প্রশ্ন আসতে পারে কর্তৃপক্ষের কাছে, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্নও পাঠানো হয়েছে। যেহেতু ইউনেস্কোর তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে ভারতের মধ্যেই প্রতিযোগিতার পরিমাণ অনেক বেশি, তাই এই প্রশ্নমালা এবং গোটা পরিদর্শন প্রক্রিয়ার বিষদ বিবরণ সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রাখছে সব পক্ষই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy