Advertisement
০২ জুন ২০২৪

সবুজায়নে বাছা হল ঐতিহাসিক সেই দিনটিকেই

সবুজায়নের জন্যে হুল দিবসের ঐতিহাসিক দিনকেই বেছে নিল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। আজ, বৃহস্পতিবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়ে বৃক্ষরোপণের কাজ শুরু করছে জেলা প্রশাসন। সে কাজে উৎসাহিত করতে মাসিক ভাতা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৬ ০২:০৮
Share: Save:

সবুজায়নের জন্যে হুল দিবসের ঐতিহাসিক দিনকেই বেছে নিল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। আজ, বৃহস্পতিবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দিয়ে বৃক্ষরোপণের কাজ শুরু করছে জেলা প্রশাসন। সে কাজে উৎসাহিত করতে মাসিক ভাতা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

ইউক্যালিপ্টস বা আকাশমণির মতো গাছ নয়, আম, জাম, নিম, শাল, পেয়ারা, কুল, বট, অশ্বত্থ-সহ নানা ফলের গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কী ভাবে লাগানো হবে গাছগুলি? জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী জানান, গাছ লাগানোর জন্য প্রতিটি সংসদকেই বলা হয়েছে। জেলায় ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৯৪২টি সংসদ রয়েছে। সংসদ পিছু অন্তত দুটি করে স্বনির্ভর দলকে এই কাজে লাগানো হচ্ছে।

সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো জানান, প্রতিটি সংসদ এলাকায় ন্যূনতম দুশো করে গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সজনে, পেঁপে, কলা এই জাতীয় গাছের বদলে প্রথাগত গাছ লাগানো হবে। সভাধিপতি আরও জানান, স্বনির্ভর দলের সদস্যেরা নিজের বা অন্যের জমিতেও গাছ লাগাতে পারেন। তবে অন্যের জমিতে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে জমি মালিকের লিখিত অনুমতি প্রয়োজন। এ ছাড়া সরকারি জমিতেও লাগানো যাবে। তবে যে ধরনের জমিতেই গাছ লাগানো হোক না কেন, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে সমস্ত তথ্য দিতে হবে।

কেন এমন উদ্যোগ?

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন এই জেলা ক্রমেই রুক্ষ হয়ে উঠছে। কমছে বৃষ্টিপাত। আবার বৃষ্টি হলে গাছ না থাকার ফলে ধুয়ে চলে যাচ্ছে মাটির উপরের অংশ। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির উপরের অংশ ধুয়ে যাওয়ার ফলে পাথুরে মাটি বেরিয়ে পড়ছে। ফলে তাপমাত্রাও বাড়ছে।

বন দফতরের পুরুলিয়া ডিভিশনের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, ‘‘গাছের সঙ্গে বৃষ্টির সম্পর্ক রয়েছে। সে জন্য গাছ রক্ষা করা জরুরি।’’ জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী জানান, গাছ লাগানোর পরে সেগুলিকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য স্বনির্ভর দলগুলিকে একশো দিনের প্রকল্প থেকে মজুরি দেওয়া হবে। সভাধিপতি জানান, গাছগুলিকে পরিচর্যা যাঁরা করবেন, সেই দলকে বছরে একশো শ্রম দিবসের মজুরি দেওয়া হবে। তবে গাছগুলি ঠিকঠাক রয়েছে কিনা, সেই ছবি প্রতিমাসে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঠাতে হবে। তবে চারা সংগ্রহ করতে হবে স্বনির্ভর দলের সদস্যদেরই। স্বনির্ভর গোষ্ঠী দফতরের জেলা আধিকারিক অমল আচার্য বলেন, ‘‘২০ লক্ষ চারা কোথা থেকে আনা হবে তা ঠিক করা হয়েছে। রোপনের জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ হবে একশো দিনের কাজের প্রকল্প খেকে। তবে বেড়া বা গাছে যে ধরনের জৈব সার লাগবে, তার ব্যবস্থা করতে হবে যে দল লাগাচ্ছেন তাঁদের সদস্যদেরই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

District administration hool day'
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE