বিয়ের পর অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়িতে এসেছিল মেয়েটি। মঙ্গলবার গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে একটি মহুল গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল সেই মেয়ের দেহ। একই ডালে মিলল এক যুবকের দেহও। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন সুন্দরা মাহাতো (১৯) ও ঈশ্বর কৈবর্ত (২১)। দু’জনেই পাড়া থানা এলাকার সুরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গাছের নীচে একটি কীটনাশকের শিশিও মিলেছে। তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। দুই পরিবার এ নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পাড়া থানার সুরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুন্দরার সঙ্গে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার এক যুবকের। সম্প্রতি তিনি অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়িতে আসেন। ঈশ্বরের বাড়ি পুরুলিয়া মফস্সল থানার শীতলপুর গ্রামে। কিন্তু তিনি সুরুলিয়া গ্রামে মামারবাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করতেন। দু’জনেই সুরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তেন।
সুন্দরা এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন আর ঈশ্বর ওই স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। এ দিন দুই পরিবারই এই মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। ওই গ্রামের বাসিন্দা ধনঞ্জয় গড়াই জানান, “কয়েকদিন আগে মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল। আজ শুনছি আত্মহত্যা করেছে সে। দু’জনে একই স্কুলে পড়ত।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। কোনও পরিবারের তরফেই আলাদা করে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। যেহেতু কিছু দিন আগে মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল তাই ম্যাজিষ্ট্রেট পযার্য়ের একজন অফিসার মৃতদেহের সুরতহাল করেন। তারপরেই দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy