ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পাত্রসায়রে। এ বার দলের এক গোষ্ঠীর কার্যালয়ে ঢুকে এক প্রতিবন্ধী যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় টিএমসিপি নেতার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ওই কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শেখ আমজাদ নামে প্রহৃত ওই প্রতিবন্ধী যুবককে প্রথমে পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই যুবকের মাথায় সেলাই হয়েছে। তবে আঘাত গুরুতর নয়।
মঙ্গলবার রাতে পাত্রসায়রের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আমজাদ পুলিশের কাছে পাত্রসায়র কলেজের টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক জিয়ারুল ইসলাম, তাঁর দাদা মনিরুল ইসলাম-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জিয়ারুল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কাউকে ধরতে পারেনি। পাত্রসায়র ব্লক তৃণমূল নেতা নব পালের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ জিয়ারুল ও মনিরুলের নেতৃত্বে বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলের পার্টি অফিসে অতর্কিতে হামলা হয়। সেই সময় কার্যালয়ে টিভি দেখছিলেন শেখ আমজাদ। হামলাকারীরা তাঁর মাথায় টাঙ্গির কোপ মারে। টিভি, ফেস্টুন, কাটআউট ভেঙে তছনছ করে পালায় হামলাকারীরা।
তৃণমূল সূত্রের খবর, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ পাত্রসায়রে টিএমসিপি নেতা জিয়ারুল বর্তমানে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের অনুগামী। এবং কট্টর নব পাল বিরোধী। অভিযোগ অস্বীকার করে জিয়ারুলের অভিযোগ, “পাত্রসায়রে অশান্তি সৃষ্টির মূল হোতা হলেন নব পাল। স্থানীয় মানুষের সমর্থন এখন আর ওঁর পিছনে নেই। তাই ধগড়িয়া, ফকিরডাঙা, বেলুট-সহ বাইরের কিছু গ্রাম থেকে প্রতিদিন লোক নিয়ে এসে বাসস্ট্যান্ডে গণ্ডগোল পাকাচ্ছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করায় প্রতিবন্ধী ওই যুবককে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন নব পাল।” আমজাদকে নব পালের লোকেরাই মারধর করেছে বলে দাবি জিয়ারুলের। ঘটনা হল, জিয়ারুল সক্রিয় রাজনীতি করলেও তাঁর দাদা শেখ মনিরুল ইসলাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। কিছুদিন আগেই পেশায় ব্যবসায়ী মনিরুলকে বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলের ওই কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়েই মারধরের অভিযোগ উঠেছিল নব পালের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তার জেরে ওই কার্যালয়ে ভাঙচুরের পাশাপাশি মার খেয়েছিলেন টিএমসিপি নেতা গোপে দত্ত। মনিরুলের দাবি, “মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে আমরা কেউ বাসস্ট্যান্ডে যাইনি। আমজাদকে ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রচুর সাহায্য করেছি। ওর মতো প্রতিবন্ধী যুবককে মারধর করাটা অন্যায়। কারা ওকে মেরেছে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই পিছনের সব রহস্য বেরিয়ে পড়বে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy