Advertisement
১৯ মে ২০২৪

বেহাল জাতীয় সড়ক, অবরোধ

নামেই জাতীয় সড়ক। বহু আগেই পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে ভরে গিয়েছে ওই রাস্তা। বৃষ্টি হলে সেই গর্তে জল জমে যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে দেয় চালকদের। আবার রোদ উঠলে ধুলোয় ঢেকে যায় চারদিক। এমনই বেহাল রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবিলম্বে মেরামত করার দাবিতে এ বার পথে নামলেন দুবরাজপুরের সাতকেন্দুরীর ব্যবসায়ীরা।

দুবরাজপুরের সাতকেন্দুরী মোড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে যানজট। মঙ্গলবার ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত।

দুবরাজপুরের সাতকেন্দুরী মোড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে যানজট। মঙ্গলবার ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৯
Share: Save:

নামেই জাতীয় সড়ক। বহু আগেই পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে ভরে গিয়েছে ওই রাস্তা। বৃষ্টি হলে সেই গর্তে জল জমে যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে দেয় চালকদের। আবার রোদ উঠলে ধুলোয় ঢেকে যায় চারদিক। এমনই বেহাল রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবিলম্বে মেরামত করার দাবিতে এ বার পথে নামলেন দুবরাজপুরের সাতকেন্দুরীর ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সাতকেন্দুরী মোড় ওই ব্যবসায়ীরা অবরুদ্ধ রাখেন। পথ অবরোধের ফলে এক ঘণ্টা ধরে রাস্তার দু’দিকেই দীর্ঘ যানযট তৈরি হল। তার জেরে নাকাল হলেন ওই রাস্তা ব্যবহারকারীরা। যদিও অবরোধে সামিল ব্যবসায়ীদের দাবি, বহু বার বিভিন্ন স্তরে ওই রাস্তা সারানোর দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু নিট ফল শূন্য। তাই বাধ্য হয়েই প্রতিবাদের এই পথ তাঁদের নিতে হয়েছে। তাঁরাও আরও জানান, ব্লক ও জেলা প্রশাসন এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে আগাম জানিয়েই এ দিন পথ অবরোধ করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে জাতীয় সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু না হলে আন্দোলন আরও তীব্র করার হুমকি দিয়েছেন অবরোধে সামিল ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, এই জাতীয় সড়কটির রনিগঞ্জ থেকে দুবরাজপুর পর্যন্ত রাস্তার হাল তুলনায় ভাল থাকলেও দুবরাজপুরের সাতকেন্দুরী মোড় থেকেই বেহাল অবস্থা শুরু হয়েছে। পরবর্তী আর যে যে অংশে সড়কের হাল খারাপ হয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে দৈন্য দশা এই সাতকেন্দুরী মোড়র-ই। স্থানীয় ব্যবসায়ী সনাতন পাল, হাসিব চৌধুরী, ভক্তদাস পাল, মহম্মদ সেলিম, গনেশ মিশ্ররা জানান, এলাকায় শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁরা মূলত হোটেল, ধাবা, গাড়ি সারানোর যন্ত্রপাতির দোকান, গ্যারাজ চালান। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রাস্তার বেহাল দশা কাটছে না। ওই ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ, “বর্ষায় জল জমে রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। দায়সারা ভাবে পাথর ও পাথরগুঁড়ো গর্তে ফেলে তা ভরাট করা হয়। কিন্তু মাস খানেক যেতে না যেতেই সেই এক হাল। বিশেষ করে পুজোর পর থেকে এই সময়টায় যে ভাবে ধুলো উড়তে থাকে তাতে বায়ূ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি হোটেলের খাবারে পড়ছে। অস্থির হয়ে পড়ছেন এই রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা। ধুলো এড়িয়ে কেউ এখানে দাঁড়াতেই চাইছেন না।” আর তার জেরেই এলাকায় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মার খাচ্ছে বলে সনাতনবাবুদের দাবি।

জাতীয় সড়কের এই অংশের দায়িত্বে থাকা এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নীরজ সিংহ অবশ্য বলছেন, “দুবরাজপুর থেকে নলহটি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করার জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র ডাকা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় কাজও শুরু হয়েছে। তবে, সব জায়গায় কাজ তো এক সঙ্গে করা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে কাজ হচ্ছে। ভাল ভাবে কাজ শুরু হতে মাস খানেক লাগবে।” তবে, তাঁর দাবি, যে সব জায়গায় রাস্তা খারাপের জন্য যান চলাচলের সমস্যা হচ্ছে, সেখানে সাময়িক ভাবে রাস্তা সারিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নীরজবাবু আরও বলেন, “এ দিনই সাতকেন্দুরীতে রাস্তা সারানোর জন্য লোক পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা সাময়িক ভাবে রাস্তা সারাতে বারণ করায় সেটা হয়নি।” যদিও রাস্তা সারাতে এসে কাউকে বাধা দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ ওই ব্যবসায়ীরা মানতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE