বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। —ফাইল চিত্র।
আবার প্রশ্নে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রক্ষণাবেক্ষণ। রবিবার এনজেপির কাছে রাঙাপানি এবং নিজবাড়ির কাছে ট্রেনটি দু’বার দাঁড়িয়ে যায়। শেষে নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টারও বেশি দেরিতে ট্রেনটি হাওড়া পৌঁছয়। প্রশ্ন উঠেছে, যে ট্রেন রেলের বিজ্ঞাপনের অন্যতম ‘মুখ’, তার রক্ষণাবেক্ষণের এই হাল কেন? কেনই বা দ্বিতীয় রেকের ব্যবস্থা না করে হাওড়া-এনজেপি লাইনে ট্রেন চালু করা?
কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘চাকার সঙ্গে কোনও ধাতব পাত ঘষা খাচ্ছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।’’ পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার চেন্নাই থেকে আইসিএফ কোচের বিশেষজ্ঞ দল এসে পৌঁছেছে, তারাই বিষয়টা দেখছে। সূত্রের দাবি, হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারতে বিভ্রাট এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার যাত্রীদের তার জেরে ভুগতে হয়েছে।
হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত চালায় পূর্ব রেল। সেটি হাওড়ায় রক্ষণাবেক্ষণ হওয়ার কথা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘নিয়মিত ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয়। তবু এ রকম ঘটতেই পারে।’’ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে-র দাবি, ‘‘গুয়াহাটি-এনজেপি বন্দে ভারতের এনজেপিতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।’’
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্য, ‘‘পুরনো আইসিএফ কোচ রি-মডেল করে চালানো হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে না দেখে, কেন ট্রেন চালু করা হল?’’ জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের কাল্পনিক কথা। রেল রক্ষণাবেক্ষণ করে। তবু কিছু সমস্যা হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy