ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের নিয়ে সরকার এবং রাজভবনের মধ্যে টানাপড়েন আপাতত শেষ হল। একটি সমাধান সূত্র মিলল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মের সুবিধার্থে রাজ্যের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে বলে সোমবার রাজভবন সূত্রে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। তবে নতুন উপাচার্যদের নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটির কাজ চলবে।
রাজভবনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজভবনে অনেক ফাইল পড়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে রাজ্যপাল দেখেন, বেশির ভাগ ফাইলই শিক্ষা সংক্রান্ত। এর পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাজ্যপাল। চটপট বিষয়গুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে সব উপাচার্যের নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনি প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁদের পদত্যাগ করিয়ে আবার তিন মাসের জন্য কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ছিলেন না, সেগুলিতেও অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে। দু’টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চলতে থাকা সমস্যার সমাধানও রাজ্যপাল করেছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। রাজ্যে একটি শিক্ষা শীর্ষ সম্মেলন করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কোনও উপাচার্য ছিলেন না, তার মধ্যে উত্তরবঙ্গ ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। রাত পর্যন্ত খবর, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হয়েছেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। তবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবাজীপ্রতিম বসুর জায়গায় নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেই খবর। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো এ বার থেকে ইউজিসি-র এক জন প্রতিনিধিও থাকবেন সার্চ কমিটিতে। এখন সেখানে শিক্ষা দফতর, বিশ্ববিদ্যালয়, আচার্যের প্রতিনিধি থাকতেন। ইউজিসি-র প্রতিনিধি যুক্ত হলে সংখ্যাটা হবে চার। তখন রাজ্যের আরও এক জন প্রতিনিধি বাড়িয়ে মোট সংখ্যা পাঁচ করা হবে বলেই খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy