রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।— ফাইল চিত্র।
শিশু পাচার-কাণ্ডে সিআইডি-র তলব পাননি বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দাবি করেছেন রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তিনি টুইট করেছেন, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী জুহি চৌধুরীর সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা চক্রান্ত। সিআইডি-র তলব পেলে তিনি যাবেন এবং তাদের ‘সত্য’ জানিয়ে আসবেন।
শিশু পাচার-কাণ্ডের তদন্তে রূপা, রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং তাঁদের আরও দুই সহযোগীকে আগামী বৃহস্পতি ও শনিবার ভবানী ভবনে ডেকে পাঠিয়েছে সিআইডি।
জলপাইগুড়ির নর্থ বেঙ্গল পিপ্লস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের হোম বিমলা শিশু গৃহ থেকে বেআইনি ভাবে শিশু দত্তক দেওয়া হচ্ছে বলে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিডব্লিউসির এক আধিকারিক অভিযোগ করেন। জুন মাসে একই অভিযোগ তোলেন সিডব্লিউসির আরও কয়েক জন আধিকারিক। এরই জেরে ডিসেম্বর মাসে তদন্ত শুরু করে জেলা প্রশাসন। ২০১৭ সালের শুরুতে তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই হোমের কর্ত্রী মূল অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তী গ্রেফতার হন। হোমের আধিকারিক সোনালি মণ্ডলকেও হেফাজতে নেন গোয়েন্দারা। সিআইডির দাবি, চন্দনাকে জেরা করেই বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী জুহি এবং রূপার নাম উঠে আসে। এর পরে জুহি এবং কয়েক জন সরকারি আধিকারিককে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে ধৃত সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারীরা।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, চন্দনা জেরায় দাবি করেন, রূপা ও কৈলাসের সঙ্গে বৈঠক করিয়ে দেবেন বলে জুহি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। সিআইডির দাবি, জুহি যে পালিয়ে থাকার সময় রূপা এবং কৈলাসের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন, সে তথ্যও তারা পেয়েছে। কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে জুহি ও চন্দনাকে দেখা করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন কৈলাসদের দুই সহযোগী। সিআইডির এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই মামলায় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের বক্তব্য শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কৈলাস এ দিন জানিয়েছেন, নিজের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। তবে একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘‘মমতাজি সরকার এবং সংগঠন— দু’টিতেই ব্যর্থ। রাষ্ট্রপতি ভোটে ক্রস ভোটিংয়ে ফের তা প্রমাণিত। তাই হতাশা থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের নোটিস জারি করাচ্ছেন তিনি। কিন্তু আমরা এতে ভয় পাই না।’’ কৈলাসের আরও ব্যাখ্যা, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন এবং পুলিশ-প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হয়েছে। তাই এই তদন্তে কারও বিশ্বাস নেই।’’
সিআইডি-র তলব প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy