সঙ্গীতা কুণ্ডু অপহরণ মামলায় ধৃত জিম-মালিক পরিমল সরকার পলিগ্রাফ টেস্ট ও ব্রেন ম্যাপিংয়ে রাজি নন। তাই সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক শুভদীপ রায় সিআইডির তরফে পেশ করা ওই দুই পরীক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। তবে ধৃত ৫ জনেরই জামিনের আর্জি খারিজ করে দু’সপ্তাহের জন্য তাদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালত সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সিআইডির পক্ষ থেকে মামলার তদন্তে অগ্রগতি সংক্রান্ত কিছু তথ্য আদালতে পেশ করা হয়েছে।
এ দিন সঙ্গীতার পরিবারের আইনজীবী অর্ণব সেনগুপ্ত আদালতে জানান, সঙ্গীতা ঠিক কবে নিখোঁজ হয়েছেন তা পরিমলবাবু ছাড়া কেউ জানেন না। তিনি মিসিং ডায়েরিতে ১৭ অগস্ট লিখলেও তা থানায় দিয়েছেন ২৬ অগস্ট। তরুণীর পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে সেপ্টেম্বরের গোড়ায়। এই দীর্ঘ সময় সঙ্গীতার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তাঁর পরিবারের কাছে চেপে রাখাটাই সন্দেহজনক বলে অর্ণববাবুর দাবি। তিনি জানান, অভিযুক্তরা জামিন পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
শিলিগুড়ির শান্তিনগরের বাসিন্দা ২৭ বছরে তরুণী সঙ্গীতা কর্মসূত্রে পরিমলবাবুর দেওয়া ফ্ল্যাটে থাকতেন। ফ্ল্যাটের নীচেই পরিমলবাবুর অফিস। সেখানেই কর্মরতা ছিলেন তিনি। এখানে একটি নাচের স্কুলও চালাতেন। পরিমলবাবু গত ২৬ অগস্ট ভক্তিনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে জানান, সঙ্গীতা ১৭ অগস্ট রাত ৯টায় নিখোঁজ হয়েছেন। জিম মালিকের বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হয়ে পরিমলবাবুর বিরুদ্ধে সঙ্গীতাকে অপহরণের অভিযোগ করেন তাঁর পরিবার। উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানির আগেই পুলিশ পরিমলবাবু সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে তদন্তের ভার সিআইডির হাতে তুলে দেয়। সিআইডি গত সপ্তাহে আদালতে পরিমলের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর আর্জি জানায়। সরকারি আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পলিগ্রাফ টেস্ট হয়তো কোন মামলার ক্ষেত্রে স্পষ্ট প্রমাণ নয়। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তা খুবই জরুরি৷ নতুন তথ্যও পাওয়া যেতে পারে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy