বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে উপাচার্যের বাংলোতে গেলেন শান্তিনিকেতন থানার ওসি এবং তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ‘পূর্বিতা’য় গেলেন তদন্তকারীরা।
গত পাঁচ বছরের কার্যকালে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি বিদ্যুতের। উপাচার্য পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের দিনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ পাতার একটি চিঠি দিয়ে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। ওই চিঠির ভাষা অশালীন ও কুরুচিকর দাবি করে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি প্রলয় নায়েক। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে। এর পাশাপাশি বিতর্কিত ফলক বসানো ছাড়াও বিদ্যুতের বিরুদ্ধে আরও চারটি অভিযোগকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে মামলা রুজু করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। সেই সব মামলায় প্রাক্তন উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্প্রতি পুলিশ আধিকারিকেরা তাঁর বাসভবনে গিয়ে তাঁকে নোটিস ধরিয়ে আসেন। এর পর যে দিন হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল, সে দি প্রাক্তন উপাচার্য তিন সপ্তাহ সময় চাওয়ার পাশাপাশি আইনজীবী মারফত কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত রক্ষাকবচ দিলেও পুলিশ বিদ্যুৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানায়। এর পরেই শান্তিনিকেতন থানার তরফে ফের তাঁকে নোটিস ধরানো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নিয়ে তারা দেরি করতে চাইছে না। ২০ নভেম্বর তিনটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ২২ নভেম্বর অন্য দু’টি মামলার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে উপাচার্যকে।
কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাংলো দখল করে রয়েছেন বিদ্যুৎ, এই অভিযোগও তুলেছে বিভিন্ন মহল। বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ এই নিয়ে সরব হয়েছে। এমনকি বিশ্বভারতীর তরফে সরকারি বাংলো খালি করতে উপাচার্যকে পরামর্শ দেওয়া বলে সূত্রের খবর। বিশ্বভারতীরই এক বিশ্বস্ত সূত্রের মতে, সামনে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ থাকায় সেই যুক্তি দেখিয়ে আরও কিছুদিন বিদ্যুৎ পূর্বিতা বাসভবনে থাকতে চাইছেন। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। সেই কারণে পূর্বিতায় গিয়েই বিদ্যুৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy