Advertisement
১৯ মে ২০২৪

মোদী-কথা শোনাল শিবপুর, শুরু বিতর্ক

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের সতর্ক থাকা উচিত ছিল।’’ আইআইইএসটি-কর্তৃপক্ষও পাল্টা জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আইআইইএসটি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তৃতা দেখিয়েছেন এবং শুনিয়েছেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১৬
Share: Save:

তাদের যে ঘোরতর আপত্তি আছে, রাজ্য সরকার সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২৫ বছর উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা সোমবার পড়ুয়াদের দেখালেন এবং শোনালেন শিবপুর আইআইইএসটি-কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের সতর্ক থাকা উচিত ছিল।’’ আইআইইএসটি-কর্তৃপক্ষও পাল্টা জানিয়ে দেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আইআইইএসটি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তৃতা দেখিয়েছেন এবং শুনিয়েছেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র পক্ষ থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেখানোর-শোনানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত না-মানার কথা জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু। বিবেকানন্দ এবং দীনদয়ালকে পাশাপাশি রেখে এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা। প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্টজনেরাও।

আরও পড়ুন: ধর্মগুরুর নির্দেশে বন্ধে অনড় গুরুঙ্গ

কিন্তু সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করে এ দিন রাজ্যের তিনটি প্রতিষ্ঠানে ওই বক্তৃতা দেখানো-শোনানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিষ্ঠান দেখালে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়েন রাজ্যের ছেলেমেয়েরাই। তাই কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’’ ভয় পেয়ে অনেকে চাকরি বাঁচাতে ওই বক্তব্য দেখাতে-শোনাতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।

আইআইইএসটি-র অধিকর্তা অজয় রায়ের মতে, শিকাগো বক্তৃতার মতো বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। ‘‘স্বামীজি সব সময়েই সমন্বয় রক্ষার কথা বলেছেন। এখানেও প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সমন্বয় থাকা উচিত ছিল,’’ বলেন অজয়বাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE