সদ্য মন্ত্রিত্বে যোগ দিয়েছেন। তাই ছেদ পড়ল দীর্ঘ ৩৯ বছরের ইনিংসে। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হল সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে। তবে সংগঠনের নেতৃত্বের স্তর থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেয়নি জমিয়তের রাজ্য কমিটি। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাকে সংগঠনের নতুন রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে।
মহাজাতি সদনে রবিবার ২০টি জেলা থেকে প্রায় ৭০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জমিয়তের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হয়ে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পরে সিদ্দিকুল্লার পক্ষে এখন আর সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকের গুরুদায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। রাজ্য সভাপতি হিসাবে তিনি বরং পরামর্শদাতার ভূমিকা নিতে পারেন। তবে একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে মন্ত্রিত্বে চলে যাওয়ার ফলে জমিয়তের মতো সামাজিক সংগঠনে কাজ করা যাবে না, এমনটা মনে করছে না তারা। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি কারী মহম্মদ ওসমান এ দিনের সভায় অতীতের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও জওহরলাল নেহরুর জমানায় সাংসদ হয়েছিলেন হিফজুর রহমান। পরবর্তী কালে সাংসদ হয়েছেন আসাদ মাদানি ও মেহমুদ মাদানিও। জমিয়তের নেতা সিদ্দিকুল্লাকে ভোটে লড়তে দিয়ে এবং মন্ত্রী করে জনসেবার যে সুযোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন ওসমান। সংগঠনের রাজ্য কমিটি এ দিনই বৈঠকে বসে সিদ্দিকুল্লার জায়গায় মুফতি আব্দুস সামাদকে নতুন রাজ্য সম্পাদক বেছে নিয়েছে।
সিদ্দিকুল্লা এ দিন বলেন, ‘‘জমিয়তের সভা রায় দিয়েছে, এই সংগঠনে থেকে কোনও রকম সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের হয়ে অখণ্ডতা ও সম্প্রীতি রক্ষার পক্ষেই কাজ করে যাব।’’ জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে আজ, সোমবার বিকাশ ভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা সিদ্দিকুল্লার। পরিষদীয় দফতরের প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy