ছবি: সংগৃহীত।
সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকায় ফের সতর্কতা জারি হল। জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে মহানন্দা অভয়ারণ্য সংলগ্ন তিস্তার লালটং বস্তি-সহ গজলডোবার নিম্ন অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এলাকাগুলিতে মাইকিং করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সব দফতরকেই তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও।
সিকিমের স্থানীয় সূত্রে দাবি, উত্তর সিকিমের লাচেনের উপরে থাঙ্গু উপত্যকা থেকে ১২ কিলোমিটার উপরে সাকচু হ্রদের আশপাশের এলাকায় আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। দিনের আলোয় স্যাটেলাইটের ছবি দেখে তা সকালের দিকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সিকিম প্রশাসনকে। কিন্তু সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কী দাঁড়িয়েছে, তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, কোনও স্যাটেলাইট ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও এ ব্যাপারে সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে সিকিমের আবহাওয়া দফতর আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। উত্তর সিকিমের চুংথাংয়েও তিস্তায় জলস্তর এখনও নামেনি।
রাজ্যের ইকো ট্যুরিজম দফতরের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, ‘‘যদি হ্রদ ভাঙত, তা হলে এত ক্ষণে তিস্তার জলস্তর অনেক বেড়ে যেত। সরকারি ভাবে লেক বার্স্টের কথা জানানো হয়নি। ভুয়ো খবর ঘুরছে বিভিন্ন জায়গায়। যে হেতু বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে, সেই কারণেই হয়তো তিস্তার বিভিন্ন এলাকায় জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy