প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরু্দ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের। —ফাইল চিত্র
সম্মতি না নিয়েই বিজ্ঞাপনে নাম দিয়ে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। জলপাইগুড়িতে ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডারে শুক্রবার জনসভা করেন মোদী। সেই সভার ঠিক আগেই ফালাকাটা থেকে সলসলাবাড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়কের শিলান্যাস করেছেন মোদী। তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গে বিজেপির আহ্বায়ক রথীন বসুর বক্তব্য, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অনুষ্ঠান, তাঁরাই বলতে পারবেন সম্মতি নেওয়া হয়েছি কি হয়নি। তবে সৌজন্য দেখাতেই বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের নাম দেওয়া হয়েছিল বলে মনে হয়।’’ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এই শিলান্যাসের বিজ্ঞাপনে সৌরভ ছাড়াও তৃণমূলের জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ দশরথ তিরকে, কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর নাম আছে। তাঁরাও দাবি করেছেন, অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তাঁদের আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়নি, মৌখিক ভাবেও আমন্ত্রণ করা হয়নি। এ দিন বিজয়চন্দ্র, অনন্তদেব, দশরথও আলাদা করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সব অভিযোগই নথিভুক্ত হয়েছে।
সৌরভ বলেন, ‘‘আমাদের সম্মানহানির জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সম্মতি ছাড়াই নাম ছাপা হয়েছে। পরে আমাদের কোনও চক্রান্তে ফাঁসানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছি।’’ কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক নগেন্দ্রনাথ রায়ের নামও বিজ্ঞাপনে রয়েছে। তবে বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের কেউই সভায় যাননি। বিজ্ঞাপনে কেন মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বা জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মার নাম ছাপা হল না, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদরা। বিজয়চন্দ্র বলেন, ‘‘বেছে বেছে নাম ছাপা হয়েছে। এটা পূর্ব পরিকল্পিত।’’
রথীনবাবুর যদিও দাবি, ‘‘সবই ভিত্তিহীন ও হাস্যকর অভিযোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy