ফাইল চিত্র।
আগের তুলনায় সংখ্যা গিয়েছে কমে। জয়ীর খাতায় নাম উঠেছে নারী শক্তির দৌলতে। কলকাতা পুরসভায় বামেদের সেই দুই মহিলা কাউন্সিলরকে এখন ভুগতে হচ্ছে ঘর-সমস্যায়। ঘর নেই, সঙ্গের শৌচালয়ও নেই। মর্যাদা রক্ষার জন্য তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন মেয়রের। সমস্যা মেনে নিয়েই মেয়র চেষ্টা করছেন সমাধান খোঁজার।
বামেদের নিয়ে এই ঘর-সমস্যার মাঝে রয়েছে ‘রাম’! এ রাম অবশ্য গেরুয়া রাম নয়। পুরসভা সূত্রের খবর, বামেদের কাউন্সিলর সংখ্যা কমে যাওয়ার পরে তাদের জন্য থাকা পুরনো ঘর সাজিয়ে-গুছিয়ে বরাদ্দ করা হচ্ছে মেয়র পারিষদ এবং পুর-রাজনীতির বর্ষীয়ান মুখ রাম পেয়ারি রামের জন্য। বদলে অন্য ঘর যে বামেদের দুই কাউন্সিলরের জন্য বরাদ্দ করা হবে, সেখানে আবার কাঁটা রয়েছে গেরুয়া রামের! কারণ, বিজেপির কাউন্সিলর সংখ্যা তিন এবং তার মধ্যে এক জন মহিলাও রয়েছেন— প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মীনা দেবী পুরোহিত। বামেদের ঘর দিয়ে দিলে তা-ই নিয়ে অধিকারের প্রশ্ন তুলতে পারে বিজেপিও।
সিপিএম ও সিপিআইয়ের দুই কাউন্সিলর নন্দিতা রায় ও মধুছন্দা দেবের আপাতত পুরসভায় গেলে স্থায়ী বসার জায়গা নেই। কাউন্সিলরদের ক্লাবে বসেই তাঁরা অগত্যা কাজ সারছেন। ব্যবহার করতে হচ্ছে সাধারণ শৌচালয়।
টানা ১৭ বছরের কাউন্সিলর মধুছন্দাদেবী এমনিতে পায়ে হেঁটে সর্বত্র ঘুরে বেড়াতেই অভ্যস্ত। পুরসভাতেও এখন তাঁকে কার্যত ঘুরেই বেড়াতে হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু করার নেই বলে এখন ক্লাবহাউসে বসে চালাচ্ছি। এর পরে হয়তো সিঁড়িতে বসতে হবে! মেয়র এবং পুর-কমিশনারকে বিষয়টা জানিয়েছি, যদি কিছু বিবেচনা হয়।’’
মেয়র ফিরহাদ হাকিমের
বক্তব্য, ‘‘বিষয়টা সম্পর্কে আমি অবহিত। ওঁরাও জানিয়েছেন। সমস্যা একটা হয়েছে। চেষ্টা করছি সমাধান বার করার।’’
কী ভাবে বাম এবং রাম, সব একসঙ্গে রাখা যাবে, এখন তারই সন্ধান করতে হচ্ছে মেয়রকে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy