আগামী ১৮ এপ্রিল জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে হবে বৈঠক। — ফাইল ছবি।
নজরে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আগামী ১৮ এপ্রিল জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে হবে বৈঠক। কমিশন সূত্রে খবর, সব জেলার জেলাশাসকদের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই চিঠি পাঠিয়ে সব জেলাশাসককে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে হবে বৈঠক। দুপুর ২টো থেকে শুরু হবে। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক এবং জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী অফিসারদের বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
সরকারি ভাবে এখনও পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ স্থির হয়নি। তবে প্রস্তুতি আগেই শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র নিয়ে চূড়ান্ত আদেশ প্রকাশ হওয়ার কথা ২৮ এপ্রিল। বিধি অনুযায়ী, তার ১২ দিনের মধ্যে ভোট করানো সম্ভব নয়। সেই হিসাবে ১০ মে-র আগে ভোটের সম্ভাবনা কার্যত নেই। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাধারণত ২১-৩৫ দিনের (সরকারি ছুটির দিন বাদে) মধ্যে ভোট করানো যেতে পারে। তাই প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে হতে পারে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন।
তবে পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে মে মাসের তীব্র গরম। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছোবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা আছে। সরকারি ভাবে সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত না থাকলেও প্রশাসনিক পর্যবেক্ষক মহলের বক্তব্য, তীব্র গরম ভোটকর্মী, ভোটার এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমস্যায় ফেলবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, সংশ্লিষ্ট সরকারের অধিগৃহীত সংস্থা, পুরসভা, স্কুল, কলেজের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের থেকে ভোটকর্মী বাছা যেতে পারে। ভোটকর্মীদের দলে যাতে অন্তত একজন কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কর্মী থাকেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ভোটকর্মীদের চিহ্নিত করার কাজও শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনগুলি। তবে কবে এবং ক’দফায় ভোট হবে, তা নিয়ে এখনও জল্পনা রয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এক দফায় পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটকর্মী লাগতে পারে। তা নিয়ে প্রশাসনের সমস্যা নেই। তবে রাজ্য পুলিশ দিয়ে এক দফায় ভোট করানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। পর্যবেক্ষক মহলের যুক্তি, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬১,৩৪০টি। ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যায় না। তাই প্রতি ভোট কেন্দ্রে দু’জন করেও পুলিশ মোতায়েন করতে হলে প্রায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার পুলিশকর্মী প্রয়োজন। তা ছাড়াও, নাকা তল্লাশি, কুইক রেসপন্স টিম, মোবাইল নিরাপত্তা বাহিনী, স্ট্রং-রুম নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য থানাগুলিও খালি করা যাবে না। তাই অত পুলিশকর্মী মিলবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy