ভারতীর স্বামী এম এ ভি রাজু। ফাইল চিত্র।
একজন হেড ওয়ার্ডার, একজন ওয়ার্ডার ২৪ ঘণ্টা নজর রাখছেন মেদিনীপুর সংশোধনাগারের ১৯ নম্বর সেলে।
সংশোধনাগার সূত্রের খবর, কোনও বন্দিকে ঘিরে সাধারণত এমন নিরাপত্তা থাকে না। তাহলে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন? কারণ, ওই ১৯ নম্বর সেলে আপাতত রয়েছেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের স্বামী এম ভি রাজু।
মেদিনীপুর সংশোধনাগারের দোতলা ভবনে সব মিলিয়ে ৩২টি সেল। একতলায় ১৬টি, দোতলায় ১৬টি। ১৭ থেকে ৩২ নম্বর সেল রয়েছে দোতলায়। সংশোধনাগার সূত্রের খবর, এখন দোতলায় রাজু ছাড়া আর কোনও বন্দি নেই। কয়েকটি সেলের বন্দিদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দাসপুর সোনা প্রতারণা মামলায় ধৃত রাজু শুক্রবার থেকে মেদিনীপুর সংশোধনাগারে রয়েছেন। শনিবার তাঁর আইনজীবী অপূর্ব চক্রবর্তী মেদিনীপুর আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাঁকে যেন অন্য সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করা হয়। অপূর্বর যুক্তি ছিল, পুলিশ সুপার থাকাকালীন ভারতী অনেক মাওবাদী ও দুষ্কৃতী ধরেছেন। তাদের অনেকেই এখন ওই সংশোধনাগারে বন্দি। তাই আক্রোশে হামলা হতে পারে রাজুর উপর। মেদিনীপুরের এক কারাকর্তা মানছেন, “সব দিক দেখেই রাজুর সেলে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” শনিবার নতুন করে মামলা হয়েছে ভারতীর বিরুদ্ধেও। দাসপুর থানায় মামুদপুরের যুবক খোকন খান অভিযোগ করেছেন, টাকার টোপ দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের চাপ দিয়েছিলেন ভারতী। অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপেই ‘চাপ’ দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৬ ফেব্রুয়ারি খোকনই প্রথম প্রাক্তন পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করেছিলেন। তখন প্রতারণা, হুমকি-সহ নানা অভিযোগ উঠেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy