এত দিন মূলত আনাজ, ফলমূল বিক্রি হত কৃষি বিপণন দফতর ‘সুফল বাংলা’ দোকানে। এ বার কম খরচে মানুষের পাতে সুগন্ধি চালের ভাত, ডাল, রকমারি সব্জির পদ তুলে দিতে নিরামিষ হেঁসেল চালানোর ব্যবসাতেও নামছে তারা। প্রথম হেঁসেল খোলা হবে বীরভূমের তারাপীঠে।
কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত জানান, খোলা বাজারের থেকে কম দামে সুফল বাংলার দোকানে নানা ধরনের আনাজ, আলু, পেঁয়াজ বিক্রি হয়। তাঁদের নিরামিষ হোটেলে সেই সব আনাজই রান্না হবে। তাঁর কথায়, ‘‘তারাপীঠে রোজ বহু মানুষ যান। অনেকেই পুজো দিয়ে নিরামিষ খাবার খেতে চান।’’ বীরভূম জেলা প্রশাসন তারাপীঠে একটা বাজার তৈরি করছে। সেখানেই সুফল বাংলার হোটেলের জায়গা দেওয়া হবে। থাকবে দোকানও। পুজোর পরেই নিরামিষ আহারের এই হোটেল চালু হতে পারে। এই প্রকল্প সফল হলে রাজ্যের অন্যত্র হেঁসেল খুলবেন তাঁরা।
কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের ৭৬টি কেন্দ্রে এখন সুফল বাংলার স্টল এবং গাড়ি রয়েছে। কোথাও কোথাও দফতরের আনাজের পাশাপাশি এই দোকানে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধও বিক্রি করা হয়। এই প্রকল্পের ফলে আলু, পেঁয়াজ-সহ নানান আনাজের দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।
হেঁসেল খোলা হলে বাজারের জোগানে টান পড়বে না? কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিক জানান, বাজারে বিক্রির পরেও অনেক আনাজ উদ্বৃত্ত থাকে। তাই জোগানে টান পড়বে না। দামও অন্য হোটেলের থেকে কম হবে। ওই কর্তার মন্তব্য, ‘‘সরাসরি চাষের মাঠ থেকে সংগ্রহ করা আমাদের আনাজ অনেক টাটকা থাকে। তাই স্বাদও ভাল হবে।’’ তিনি জানান, গোবিন্দভোগ, তুলাইপাঞ্জি, কালোনুনিয়া, রাঁধুনিপাগলা এবং রাধাতিলক চালের ভাতও দেওয়া হবে। গরম ভাতের সঙ্গে মিলবে ঘি-ও। ‘‘এই ভাতের স্বাদ মানুষ পেলে বাজারেও চাহিদা বা়ড়বে বলে আশা করছি,’’ বলছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy