অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েতে দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের অভিযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পরপর কয়েকটি জায়গায় অভিযোগ পেয়ে দলের একাধিক পদাধিকারীকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক। শুক্রবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট বিতর্কে দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘এক জন পঞ্চায়েতের প্রধান সরিয়ে দিচ্ছেন! এখনও এক প্রধানের বাড়িতে ১৭টি আবাস প্রকল্প। আর এক প্রধানের ৩৫টি।’’
শুভেন্দুর এই অভিযোগ উড়িয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘‘আবাস প্রকল্প ঘুরে দেখে কেন্দ্রীয় দলই বলে দিয়েছে, কোনও দুর্নীতি নেই।’’ ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ উন্নয়নে রাজ্যের প্রশংসা করে কেন্দ্রের দেওয়া স্বীকৃতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজেও শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা দেওয়া হয়েছে এ রাজ্যকেই।’’ আবার কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদেশিক ঋণের কথা টেনে প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে কটাক্ষ করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তা নিয়ে হট্টগোলও চলে।
১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে শুভেন্দু ভুয়ো জব কার্ড এবং আধার ও জব কার্ডের সংযোগ না থাকার অভিযোগ করে দুর্নীতির দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘জব কার্ডের টাকা অন্য রাজ্যেও চলে গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে লোক এসে কাজ করে টাকা নিয়ে চলে গেছেন। জব কার্ড ও আধার লিঙ্ক না করে বড় দুর্নীতি চলেছে এই গোটা প্রকল্পে।’’
বিরোধীদের তোলা দুর্নীতির অভিযোগের জবাবে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগই ফিরিয়ে দিয়েছে সরকারপক্ষ। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে পঞ্চায়েতমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘আধার আর জব কার্ডে লিঙ্ক না করার জন্যই যদি কেন্দ্র প্রাপ্য টাকা বন্ধ করে দেয়, তা হলে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত ও মহারাষ্ট্র টাকা পাচ্ছে কেন? তাদের কারও বকেয়া ৩২ শতাংশ, ৪৭ শতাংশ ও ৫৮ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক পিছিয়ে। কারও টাকা আটকে নেই। এ রাজ্যের ৫ শতাংশ কাজ বকেয়া থাকায় টাকা আটকে রাখা হয়েছে কেন?’’
পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে ২০১৮-র ‘অভিজ্ঞতা’র কথা টেনে সরকারপক্ষকে বিঁধে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের তিন স্তরে মোট ৩৪ শতাংশ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। এ বার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।’’ এই সময় তিনি তৃণমূলেই ছিলেন বলে পাল্টা কটাক্ষ শুনতে হয়। পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮৬ শতাংশ আসনে জিতেছেন। এটা ভুললে চলবে কেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy