—ফাইল চিত্র।
প্রয়াত হলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দ। বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বার্ধ্যক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২০১৫ সাল থেকে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত বুধবার তাঁর কিডনির স্টেন্ট বদল হয়। স্বামী আত্মস্থানন্দকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। আজ তাঁর প্রয়াণ ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামী আত্মস্থানন্দের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
স্বামী আত্মস্থানন্দের নশ্বর দেহে যাতে ভক্তরা শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, তার জন্য রবিবার সারা রাত বেলুড় মঠের দরজা খোলা থাকবে। —নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়াত অধ্যক্ষের নশ্বর দেহ বেলুড় মঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অগণিত শিষ্য এবং ভক্তদের জন্য তাঁর দেহ আগামী কাল রাত পর্যন্ত বেলুড় মঠে শায়িত থাকবে বলে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। শিষ্য ও ভক্তরা যাতে মরদেহে অন্তিম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারেন, তার জন্য আজ সারা রাত বেলুড় মঠের দরজা খোলা থাকবে। আগামী কাল অর্থাৎ সোমবার রাত ৯টার পরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: আমৃত্যু মানুষের জন্য কাজ করে গেলেন
স্বামী আত্মস্থানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মৃত্যু তাঁর জন্য ব্যক্তিগত ক্ষতি। জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় তিনি স্বামী আত্মস্থানন্দের সঙ্গে কাটিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। ‘‘কলকাতায় যখনই যেতাম, তখনই এক বার স্বামী আত্মস্থানন্দজির আশীর্বাদ নিয়ে আসতাম’’, শোকবার্তায় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইট করে জানিয়েছেন, স্বামী আত্মস্থানন্দের প্রয়াণে তিনি শোকাহত। আগামী কাল তাঁর শেষকৃত্য যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর ভক্তরা যাতে বেলুড় মঠ থেকে সহজেই ফিরতে পারেন, তার জন্য আগামী কাল রাতে সেখান থেকে বিশেষ বাস পরিষেবার ব্যবস্থা করছে রাজ্য প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy