মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই উদ্বোধন হবে টালা সেতুর। নিজস্ব চিত্র।
প্রথমে চেষ্টা করা হয়েছিল মহালয়ার আগের দিন উদ্বোধনের। কিন্তু ‘লোড টেস্টিং রিপোর্ট’ হাতে না আসায় নবনির্মিত টালা সেতুর উদ্বোধন কয়েক দিনের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর, চতুর্থীর দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে উদ্বোধন হতে পারে টালা সেতুর। উদ্বোধন সংক্রান্ত বিষয় চূড়ান্ত করতে শুক্রবার পৃথক দু’টি বৈঠক হয়েছে। একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়-সহ সেতু নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেখানেই স্থির হয়েছে, ‘লোড টেস্টিং রিপোর্ট’ হাতে এলেই উদ্বোধনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হবে।
দ্বিতীয় বৈঠকটি করেছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। সেখানে বেশ কিছু স্থানীয় দাবি উঠে এসেছে। পাশাপাশি, পুজোর সময় টালা এলাকায় যান চলাচল কী ভাবে হবে, তা নিয়েও অতীনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।প্রায় দু’বছর সময় লেগেছে নতুন এই সেতুটি তৈরি করতে। তাই ফিরহাদ জানিয়েছেন, প্রথম এক সপ্তাহ ভারী যান চলাচল হবে না ওই সেতুতে। এক সপ্তাহ পর থেকে বিবেচনার ভিত্তিতে ভারী যান চলাচলের সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। কিন্তু বাস মালিকদের সংগঠনগুলি চায়, উদ্বোধনের দিন থেকেই টালা সেতুতে বাস চালাতে। ইতিমধ্যে পরিবহণ দফতরে তাঁরা লিখিত আবেদনও করেছেন তাঁরা। কিন্তু প্রশাসনও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়।
তবে স্থানীয় স্তর থেকে কলকাতা পুরসভার কাছে কয়েকটি সিঁড়ি নির্মাণের দাবি এসেছে। মোট চারটি সিঁড়ি তৈরির দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। ওই চারটি সিঁড়ি আগামী তিন মাসের মধ্যেই করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে স্থানীয় স্তর থেকে নতুন সেতুর সঙ্গেও একটি সেতু তৈরির দাবিও উঠেছিল। কিন্তু সেই দাবি কোনও ভাবেই মানা সম্ভব নয় বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। স্কুল ও কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার জন্য যে চারটি সিঁড়ি তৈরির কথা বলা হয়েছে, তাতে আপত্তি নেই প্রশাসনের। তবে সেতুর মাঝে কোনও রকম সিঁড়ির নির্মাণ সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক। তাঁর কথায়, সেতু সংলগ্ন কোনও সিঁড়ি তৈরি হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়, তাই সেই ঝুঁকি এড়াতেই সেই সেতুর নির্মাণ সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy