সারদা তদন্তে এ বার আঙুল উঠল অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দিকেও।
আজ গুয়াহাটিতে সিবিআই দফতরে, রাজ্যে সারদার কার্যকলাপ এবং ওই সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রী, নেতা, ব্যবসায়ীদের যোগসাজস নিয়ে শতাধিক পাতার নথি জমা পড়েছে। তদন্ত সংস্থা সূত্রের খবর, তাতে অভিযোগ রয়েছে তরুণ গগৈয়ের বিরুদ্ধেও। বলা হয়েছে, কয়নাধারায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের পাশের পাহাড়ে নির্মীয়মাণ পাঁচতারা হোটেলে ঢুকেছে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার টাকা। সে কথা জানেন গগৈও।
এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী গগৈ। এ নিয়ে ব্যবসায়ী উমাশঙ্কর মিশ্রের অভিযোগ, পাহাড়ের ওই জমি তাঁদের বংশের সম্পত্তি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা সেটি জবরদখল করেন। ওই জমি দু’বার কেনা হয়েছে বলে দেখিয়ে, সেখানে হোটেল তৈরির কাজ শুরু করা হয়। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ‘চক্রান্তে’ জড়িত ছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, তাঁর স্ত্রী নলিনী এবং তরুণ গগৈ। তাঁর কথায়, “সিবিআই আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক তথ্য জানাতে পারি। তবে, তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আগেও অভিযোগ করেছি। কিন্তু, ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর চাপে তদন্ত এগোয়নি।”
সিবিআইয়ের এক অফিসার বলেন, “সারদা তদন্তের সুযোগ নিয়ে এ বার অসমের ব্যবসায়ীদের একাংশ অনেক গোপন কথা ফাঁস করতে পারেন। দাখিল হওয়া সমস্ত নথির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। সেগুলি সিবিআই যুগ্ম অধিকর্তার কাছে পাঠানো হবে।” তদন্তকারীরা জানান, কয়নাধারার ওই হোটেল প্রকল্পে সারদা গোষ্ঠী ৩০ কোটি ও জীবন সুরক্ষা গোষ্ঠী ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ মিলেছে।
সিবিআই সূত্রের খবর, তাদের হাতে আসা নথিগুলির মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী গগৈয়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রাম অবতার অগ্রবালের একটি হলফনামা রয়েছে। তাতে সারদা ও জীবন সুরক্ষা সংস্থার সঙ্গে গগৈয়ের যোগাযোগ, পাঁচতারা হোটেলে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার টাকা, বিভিন্ন সরকারি দফতরে দুর্নীতি এবং চিদম্বরম দম্পতির হস্তক্ষেপ নিয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন অগ্রবাল। তবে, এ নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, “আমার নাম করে হয়তো ভুয়ো হলফনামা দেওয়া হয়েছে। সিবিআই তদন্ত হলে সব সত্য প্রকাশ পাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy