কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র ।
জিটিএ আওতাভুক্ত এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতিতে’ সিবিআই অনুসন্ধান সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল বৃহস্পতিবার। তবে রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য।
ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, জিটিএ-র আওতায় কিছু স্কুলে কিছু স্বেচ্ছাসেবী (ভলান্টিয়ার) শিক্ষকও আছেন। রাজ্য দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের জন্য এফআইআর করেছে। তদন্ত করার জন্য আদালতে সময়ের আবেদন করেছিল। কিন্তু বিচারপতি বসু সেই সময় দেননি।
এই মামলার মূল আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, এই দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমে রাজ্য কোনও গুরুত্ব দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করায় রাজ্য এফআইআর করে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকে রাজ্য পুলিশ কী করছিল সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিকাশরঞ্জনের দাবি, ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের দায়ের করা মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। এই দুর্নীতির বিষয়ে বিচারপতি বসুর কাছে এক সরকারি অফিসার যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতে সব প্রমাণ আছে। ওই চিঠি পাওয়ার পর থেকে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হিসেবে শুনানি করেছে। মামলার বহু আবেদনকারীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy