রাজ্য জুড়ে আতশবাজির ক্লাস্টার গড়ার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। ফাইল চিত্র।
আতশবাজি নিয়ে ক্লাস্টার গড়তে এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ল নবান্ন। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই কমিটিতে রয়েছেন অর্থ, দমকল, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, পরিবেশ ও পুর নগরোন্নয়ন সচিব। এই কমিটি আগামী ২ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে একটি রিপোর্ট দেবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য জুড়ে আতশবাজির ক্লাস্টার গড়ার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
বাজি কারখানা নিয়ে কোনও ক্লাস্টার করা যায় কি না সেই বিষয়েই একটি রিপোর্ট দিতে পারেন তাঁরা। ফিরহাদের কথায়, ‘‘রাজ্য সরকারের অনেক পরিত্যক্ত জমি পড়ে রয়েছে। সেখানে ক্লাস্টার গড়ে জেলাভিত্তিক সবুজ বাজি তৈরি করা যেতে পারে। যে সমস্ত বাজি বেআইনি নয়, মূলত সেই বাজিগুলিই ক্লাস্টারে তৈরি হবে।’’ বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করতেই মুখ্যমন্ত্রী এমন উদ্যোগ বলেই মনে করছে আতশবাজি বিক্রেতারা।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘সম্প্রতি কয়েকটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরাও ছোটবেলায় দেখতাম বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হত। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বাজি বিষয়ে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তাতে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নতুন এই ক্লাস্টার তৈরি হলে, জেলায় ঘরের কাছে থেকেই যেমন কাজ পাওয়া যাবে। তেমনই পরিবেশবান্ধব বাজিও তৈরি করা যাবে।’’
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার বাজি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যেখানে প্রাণ হারান প্রায় ৮ জন মানুষ। তারপরেই কড়া পদক্ষেপ করে বেআইনি বাজি কারখানাগুলিতে ধড়পাকড় শুরু হয়। এতেই ক্ষেপে যান আতশবাজি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা কলকাতার রাজপথে নেমে আন্দোলনের হুমকিও দেন।
সোমবারই তাঁরা নিজেদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্ত রাজ্য সরকার আতশবাজির ক্লাস্টার গড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরেই নিজেদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা থেকে সরে আসেন। মঙ্গলবার বাংলার আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy