সন্ধ্যায় ঝড়বৃষ্টির পরে মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ২১.৭ ডিগ্রিতে। —ফাইল চিত্র।
এক সন্ধ্যার বৃষ্টিতেই বদলে গেল পারদের চরিত্র। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। সন্ধ্যায় ঝড়বৃষ্টির পরে মঙ্গলবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ২১.৭ ডিগ্রিতে, স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি কম। এ দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও (৩২.৭ ডিগ্রি) স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম ছিল। সোমবারের থেকেও প্রায় তিন ডিগ্রি কমেছে তাপমাত্রা। তীব্র দহনের হাত থেকে আপাতত রেহাই পেয়ে তাই আমবাঙালির প্রশ্ন, ক’দিন থাকবে এমন আবহাওয়া? ক’দিন চলবে ঝড়বৃষ্টি?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তার মধ্যে শুক্রবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। সে দিন নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে নদিয়া এবং দুই ২৪ পরগনায়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আপাতত তীব্র দহনের কোনও আশঙ্কার কথাও আবহবিদেরা জানাননি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের এক দিকে বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত আছে। আর একটি ঘূর্ণাবর্ত আছে মধ্যপ্রদেশের উপরে। এই দুই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প গাঙ্গেয় বঙ্গের পরিমণ্ডলে ঢুকছে। তার ফলেই ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
তবে সোমবারের প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুতের তারও ছিঁড়ে পড়েছিল। পুলিশ জানায়, তেমনই ছেঁড়া তারে হাত লেগে মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে অশোক দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। তবে তীব্র শুষ্ক দহনের ফলে বহু জায়গায় আনাজ চাষের ক্ষতি হয়েছিল। এই বৃষ্টিতে সেই ক্ষতে প্রলেপ পড়বে বলেও মনে করছেন কৃষকদের অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy