Advertisement
১৯ মে ২০২৪
AITC

Bhabanipur bye-Election: সেপ্টেম্বরের শেষে উপনির্বাচন ধরে নিয়েই ভবানীপুরে প্রস্তুত হচ্ছে তৃণমূল

নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও, উপনির্বাচন নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, ওই কর্মী সম্মেলনেই নেতারা কর্মীদের উদ্দেশ্যে সেপ্টেম্বরের শেষেই উপনির্বাচনের আভাস দিয়েছেন।

জয়হিন্দ ভবনে ভবানীপুর বিধানসভার কর্মী সম্মেলনে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

জয়হিন্দ ভবনে ভবানীপুর বিধানসভার কর্মী সম্মেলনে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২১ ১৪:৩৬
Share: Save:

সেপ্টেম্বরের শেষে উপনির্বাচন ধরেই ভবানীপুরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল। শনিবার সন্ধ্যায় এক কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয় কালীঘাটের জয়হিন্দ ভবনে। সূত্রের খবর, ওই কর্মী সম্মেলনেই নেতারা কর্মীদের উদ্দেশ্যে সেপ্টেম্বরের শেষেই উপনির্বাচনের আভাস দিয়েছেন। নির্দেশে বলা হয়েছে, কোভিড সংক্রমণের কারণে ভোটে এবার আর বড় ধরনের সমাবেশ, মিছিল বা প্রচারসভা করা যাবে না। তাই ভবানীপুরের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মীদের প্রচার করতে হবে। গত ১০ বছর রাজ্যের দায়িত্ব সামলেও, কীভাবে বিধায়ক হিসেবে ভবানীপুরের মানুষের কাছে মমতা পৌঁছে গিয়েছেন, তাও ভোটারদের জানাতে বলা হয়েছে।

এই কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সী, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার, পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্ত্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও, উপনির্বাচন নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

কর্মী সম্মেলনে হাজির ভবানীপুর এলাকার এক নেতার কথায়, ‘‘দিদির ভোটের কোনও প্রচারের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ভোটপর্ব পরিচালনার জন্য কর্মীদের চাঙ্গা করা প্রয়োজন। কারণ বিধানসভা ভোটে এত বড় জয়ের পর কর্মীমহলে আত্মতুষ্টি আসতেই পারে। কিন্তু দিদির ভোটে আমাদের মতো কর্মীদের ঢিলেমির কোনও জায়গা নেই। ভোট যখনই ঘোষণা হোক কর্মীদের তৈরি রেখে প্রচারে নামানোই আমাদের লক্ষ্য। সেই কারণেই ভবানীপুর বিধানসভার কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করা হল। আমাদের আশা সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ভোট হবে। তাই প্রস্তুতিতে আমরা কোনও খামতি রাখতে চাই না।’’ উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ২১ মে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর তারপরেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে এই আসনে প্রার্থী হবেন মমতাই। তাই উপনির্বাচন ঘোষণা না হলেও, প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার অতিমারি পরিস্থিতিতে পাঁচ রাজ্যের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থান জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আটদফা বিধানসভা ভোটের সময় রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি কী ছিল, আর বর্তমান পরিস্থিতি কী রয়েছে? পরিসংখ্যান দিয়ে আমরা ভোটের দাবি করেছিলাম। আবারও যখন আমাদের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছে, তখন আমরা সেই পরিসংখ্যান দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ভোট করানোর দাবি জানাব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে ভোটের মতো পরিস্থিতি রয়েছে। তাই আমাদের দাবি যুক্তিসঙ্গত বলেই মনে করি।’’ ৬ অগস্ট কলকাতায় রাজ্য নির্বাচনী দফতরে গিয়ে পার্থ-সহ তৃণমূলের একঝাঁক মন্ত্রী রাজ্যের সাতটি কেন্দ্রে দ্রুত ভোটের দাবি জানিয়েছিলেন।গত ১৫ জুলাই দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে রাজ্যে সাতটি বিধানসভায় ভোটের জন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রর কাছে দরবার করে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।

রাজ্যের মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট বকেয়া রয়েছে। জঙ্গিপুর ও শামসেরগঞ্জে সাধারণ বিধানসভা নির্বাচনের সময়ই ভোট হয়নি। ওই দুই আসনে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত করা হয়। ভোটের ফল ঘোষণার আগেই করোনা সংক্রমণে মারা যান খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ। বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার পরে মারা গিয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। এছাড়া বিধানসভায় জিতেও সাংসদ পদে থেকে যাবেন বলে দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ ছেড়েছেন নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। অন্য দিকে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করেছেন শোভনদেব। তাই সব মিলিয়ে সাতটি কেন্দ্রে নির্বাচন বকেয়া রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE