পশ্চিমবঙ্গে বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিপিএম। ফাইল চিত্র।
বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে এ বার প্রতিবাদ জানাল সিপিএম। রবিবার এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘‘বিএসএফের এলাকাকে যে ভাবে বিস্তার ঘটানো হয়েছে, তাতে বলা যেতে পারে যে এই এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে এল। এটা রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ। দিল্লি থেকে বলপ্রয়োগের মনোভাব এটা। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাচ্ছি।’’
প্রসঙ্গত, ১৫ কিলোমিটার এক্তিয়ারকে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। প্রায় ২২০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তিন দেশের সঙ্গে সীমানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বাংলা। সুজনের দাবি, ‘‘তিন দেশের সঙ্গে তিন হাজার কিলোমিটার এলাকার সীমানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে। তিন হাজার গুণ ৫০। পশ্চিমবঙ্গের মোট যে ভুগোল তার থেকেও বেশি। কোনও কোনও সীমান্ত এলাকা সরু, তাই ৫০ কিলোমিটার জায়গা পর্যন্ত নেই। তাই পশ্চিমবঙ্গের ৬০ ভাগ এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আওতায় এল। এটা মোটেও ভাল হচ্ছে না।’’ রাজ্য সরকার কেন আপত্তি করছেন না? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন সুজন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই নির্দেশিকা জারি করে পশ্চিমবঙ্গ-সহ তিন রাজ্যে বিএসএফ-এর হাতে গ্রেফতারি, তল্লাশি ও বাজেয়াপ্তের বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। এ কথা জানাজানি হতেই গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে ভাবে বিএসএফ-এর কর্মক্ষেত্র সীমান্ত থেকে ১৫ কিমির বদলে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করল, তা প্রতিবাদযোগ্য। এটা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এলাকায় পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো। তৃণমূল বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে।’ তৃণমূল মুখপাত্র এমনটা বললেও নবান্নের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy