মুখ্যমন্ত্রীর সভা শেষে বৃষ্টির চাপে ছিঁড়ে পড়ল প্যান্ডেলের একাংশ। বৃহস্পতিবার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
মুখ্যমন্ত্রী যত ক্ষণ বললেন, তার বেশির ভাগ সময় জুড়ে মুষল ধারায় বৃষ্টি হল। তাই বক্তৃতার মাঝেই তাঁকে বলতে হল, ‘‘সভা শেষ হলে ধীরে সুস্থে যাবেন, যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে যায়।’’
দুর্ঘটনা ঘটেছিল গত ১৬ জুলাই মেদিনীপুর প্রধানমন্ত্রীর সভায়। ভেঙে পড়েছিল ছাউনি। তার দায় নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপান-উতোর। প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলেই গত ২৮ জুলাই পাল্টা সভা করেছিল তৃণমূল। সেই সভায় কোনও ছাউনি ছিল না। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থল তৈরি হয়েছিল তিনটি অ্যালুমিনিয়াম ‘হ্যাঙার সেট’ দিয়ে। জল নিকাশি ব্যবস্থা ছিল উন্নত। মণ্ডপের বিভিন্ন জায়গায় ছিল স্বচ্ছ পাইপ। এই পাইপের মাধ্যমে উপর থেকে নেমে আসছিল জল। পরে অন্য পাইপের মাধ্যমে সেই জল বার করে দেওয়া হচ্ছিল স্টেডিয়ামের বাইরে।
দু’দিন আগেই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছিল ঝাড়গ্রাম। এ দিন সকালেও অরণ্যশহরের মুখ ছিল ভার। দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী বলতে শুরু করেন। কিছু পরেই মুষলধারায় বৃষ্টি নামে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মনের মধ্যে কতগুলি দিন থাকে, সেগুলি পালন করতে হয়। বৃষ্টির উপর আমাদের হাত নেই। এটা প্রকৃতি মায়ের হাতে।’’
মোদীর সভায় ছাউনি ভেঙে পড়া নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। মোদীর পাল্টা সভায় ছিলেন না মমতা। তাই এ দিন তিনি মোদীর বিরুদ্ধে কোনও বার্তা দেন কি না, সে দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। সরাসরি মোদীর সমালোচনা না করলেও বৃষ্টি নিয়ে বারবার উদ্বেগ জানিয়েছেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy