Advertisement
১৯ মে ২০২৪

দরজা ঠেলতেই মিলল তিন দেহ

বড়দা দোর খোলেননি। খটকা তখনই লেগেছিল পরিবারের বাকিদের। কারণ, ফি দিন ভোর ভোর উঠে বারদরজা খুলে জল দিয়ে মিষ্টির দোকান খোলাটা ছিল বড়দার বরাবরের অভ্যাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৪
Share: Save:

বড়দা দোর খোলেননি। খটকা তখনই লেগেছিল পরিবারের বাকিদের। কারণ, ফি দিন ভোর ভোর উঠে বারদরজা খুলে জল দিয়ে মিষ্টির দোকান খোলাটা ছিল বড়দার বরাবরের অভ্যাস।

শুক্রবার সকাল ৬টা বেজে গেলেও শোওয়ার ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ বাড়ে। দরজা ঠেলতেই তা খুলে যায়। ভিতরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় গৃহকর্তা সুজলবরণ নাগকে (৬২)। বিছানায় গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় মেয়ে সুদর্শনা (২০)। মেঝেয় পড়ে সুজলবাবুর স্ত্রী মণিমালার (৫০) নিথর দেহ। এই ঘটনা

জানাজানি হতেই ভিড় বাড়ে মঙ্গলকোটের নতুনহাট বাজার এলাকার নাগ-বাড়িতে। পরিচিত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী হওয়ার সুবাদে এলাকার সকলেই ওই পরিবারের সদস্যদের চেনেন।

মৃতদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেলে পাঠিয়েছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরে নিজে গলায় দড়ি দেন। তবে, অন্য সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি নিয়ে সুজলবাবুর ভাই হিমানীশ নাগ ও ভগ্নিপতি রঞ্জিত লাহা দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন। রঞ্জিতবাবুর দাবি, মা-মেয়ের গলায় দড়ির দাগ দেখেছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। মঙ্গলকোটের ওসিকে উদ্দেশ করে তাতে লেখা, এই ঘটনার জন্য কেউ দায়ী নয়। অকারণে পরিবারের কাউকে হেনস্থা না করার অনুরোধও রয়েছে ওই বয়ানে। পুলিশের দাবি, দোকানের বিলে সজলবাবুর হাতের লেখার সঙ্গে সুইসাইড নোটে লেখার মিল আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mangalkot Dead Body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE