ভুয়ো ডাক্তার, ডাক্তারি পড়তে টাকার লেনদেনের পরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগে কারচুপির অভিযোগ উঠল। হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের লোগো নকল করে নিয়োগপত্র বানিয়ে লোক ঠকানোর একটি চক্রের হদিস মিলেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রসেনজিৎ দাস নামে ন্যাশনালের এক ওয়ার্ডমাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাল নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে আসা দুই ব্যক্তিও পুলিশের কব্জায়।
হাসপাতালের খবর, বৃহস্পতিবার হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক চলছিল। তখনই খবর আসে, ওয়ার্ডে চতুর্থ শ্রেণির দু’জন নতুন কর্মী কাজে ঢুকেছেন। কিন্তু তাঁদের কাছে থাকা নিয়োগপত্র ভুয়ো। সুরজ খান ও নুর মহম্মদ শেখ নামে বীরভূমের বাসিন্দা ওই দুই বাসিন্দাকে সুপারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদে কাছে হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের লোগো ছাপানো ভুয়ো নিয়োগপত্র মিলেছে। তাতে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্মল মাজির নাম ছিল। অথচ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন রাজেন্দ্র পাণ্ডে। ওই দুই ব্যক্তি জানান, কিছু লোক চাকরি জুটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেন এবং চিঠি দেন। প্রসেনজিতের সঙ্গে দেখা করে কাজে যোগ দিতে বলেন। সে-ভাবেই তাঁরা যোগ দিয়েছেন।
ন্যাশনালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের অন্যতম সদস্য শান্তনু সেন জানান, বোর্ডের নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষমতা নেই। ‘‘যে-ভাবে লোগো নকল করা হয়েছে, সেটা দেখে আমরা অবাক হয়ে গিয়েছি। স্বাস্থ্য দফতরের ভিতরেও অনেকে যুক্ত থাকতে পারে। পুলিশকে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল থেকেও একটা তদন্ত করা হবে,’’ বলেন শান্তনুবাবু।
ভুয়ো নিয়োগপত্রে যাঁর সই নকল করা হয়েছে, সেই নির্মল মাজি বলেন, ‘‘বড় একটা চক্র স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতাচ্ছে। অবিলম্বে এই চক্র ভাঙতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy