উলুবেড়িয়ায় তোলা সুদীপ্ত ভৌমিকের ছবি।
বসন্তে ফের বজ্রনির্ঘোষ শোনা গেল।
শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় হল ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে। মাঝারি বৃষ্টি হল উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও দুই ২৪ পরগনায়।
এ দিন দুপুরেই ওই বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস! জানিয়েছিল, এ দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকে আসা জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে এই কাণ্ড ঘটাতে পারে। তবে কলকাতার তুলনায় পশ্চিমের জেলাগুলিতে এই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি।
সন্ধ্যায় কলকাতা। ছবি: রণজিৎ নন্দী
বস্তুত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতেই কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল। তার পিছনেও দায়ী ছিল সাগর থেকে ঢুকে আসা জোলো হাওয়াই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি উচ্চচাপ বলয় রয়েছে। সেটির ফলে জলীয় বাষ্প দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে ঢুকছে। একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা থাকায় সেই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- কালবৈশাখী এনে প্রথম দিনেই চমক দিল এপ্রিল
আরও দেখুন- ইউরোপে ঝড়ের দাপট, উড়ছে টয়লেট, মানুষও!
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, ফাল্গুন শেষ হয়ে যত চৈত্র এগোবে ততই কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বাড়ে। কিন্তু এখনও সেই সময় আসেনি। তবে এই ঋতুবদলের সময়ে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও তা অস্বাভাবিক নয়।
আবহবিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, এ সময়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তর দিয়ে জোরালো ঠান্ডা হাওয়া বা জেট স্ট্রিম বইতে থাকে। নীচের স্তরে থাকা গরম জলীয় বাষ্প সেই ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে মিশে ব়ড় মাপের মেঘপুঞ্জ তৈরি করে। বর্তমানেও গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে জেট স্ট্রিম বইছে এবং উল্টো দিক থেকে ক্রমাগত জলীয় বাষ্প ঢুকে চলেছে।
এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে দক্ষিণবঙ্গের কপালে আরও ঝড়বৃষ্টি জুটতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy