ফুলবাই
বাড়ি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল মাসখানেক আগেই। কিন্তু ঘরে ফিরতে পারেননি রাজস্থানের ফুলবাই। কারণ, তাঁর বাড়ির কেউ নিতে আসেননি তাঁকে। শেষ পর্যন্ত পাশে দাঁড়িয়েছে রাজস্থানের গুনা জেলার প্রশাসন। তারা ভরসা জুগিয়েছে, বাড়িতে ফিরে ফুলবাইকে যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয়, তা তারা দেখবে। এই আশ্বাস মেলার পরেই বৃহস্পতিবার ফুলবাইকে নিয়ে রাজস্থান রওনা হল একটি দল।
মাস সাতেক আগে টিটাগড়ে রাস্তার ধারে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল বছর তিরিশের ফুলবাইকে। পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিছুটা সুস্থ হতে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, মানসিক রোগে আক্রান্ত ওই যুবতী। নিজের নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারেননি তিনি। স্কিৎজ়োফ্রেনিয়ারও চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। মাস দুয়েকের মধ্যে সেরে ওঠেন তিনি। জানান, গুনা জেলায় তাঁর বাড়ি। তা জানানো হয় পুলিশকে। কিন্তু তাঁর বাড়ি খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষে মুশকিল-আসান হয়ে দেখা দেন হ্যাম রেডিয়ো ক্লাবের সদস্যেরা। পশ্চিমবঙ্গ রেডিয়ো ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বাড়ি খুঁজে বার করেন।
গুনার জেলাশাসক উদ্যোগী হলেও বাড়ির লোকেরা ফুলবাইকে নিতে আসেননি। শেষ পর্যন্ত লিখিত ভাবে গুনা জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানায় ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসন। তাতেই কাজ হয়।
বৃহস্পতিবার এক মহিলা কনস্টেবল-সহ দুই পুলিশকর্মী ফুলবাইকে নিয়ে রাজস্থানে রওনা দেন। সঙ্গে রয়েছেন অম্বরীশবাবুও। এ দিন তাঁকে বিদায় দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন হাসপাতালের নার্স ও কর্মীরা। বাড়ি ফেরার খুশিতে সকাল থেকে মুখে হাসি লেগে ছিল ফুলবাইয়ের। কিন্তু বিদায় নেওয়ার সময়ে তাঁরও চোখে জল। বাড়িতে তাঁর জন্য কী অপেক্ষা করছে, তা অবশ্য জানেন না ফুলবাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy