শুভেন্দুকে আক্রমণ কুণালের। ফাইল চিত্র
আসানসোলে বিজেপির এত ব্যবধানে হারের পিছনে শুভেন্দু অধিকারীর অবদান রয়েছে বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, তৃণমূলের বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা না থাকলেও বিজেপি শুভেন্দুকে আসানসোলের দায়িত্ব দেওয়ার পরে ব্যবধানের রেকর্ড যে ভাঙা হবে তা নিশ্চিত হয়ে যায়। রাজ্য বিজেপি অবশ্য এমন ফলের পিছনে তৃণমূলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করছে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘উপনির্বাচনে স্থানীয় শাসকদলের জয়ের সম্ভাবনা বেশিই হয়। আর গোটা রাজ্যেই যে ভাবে সন্ত্রাস চলছে, তাতে বিজেপির ভোটারেরা বুথে যেতেই ভয় পেয়েছেন।’’
আসানসোল উপনির্বাচনে একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রার্থী করা হয় অগ্নিমিত্রা পালকে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিরোধী দলনেতার পছন্দের বলেই প্রার্থী করা হয় দক্ষিণ আসাসোলের দলীয় বিধায়ককে। শুধু তাই নয়, লোকসভা আসনের ভোটে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও দেওয়া হয় শুভেন্দুকেই। সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং আসানসোলের নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুধু প্রচারে অংশ নেওয়াই নয়, নির্বাচন পর্বে আসানসোলের প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় গিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। কিন্তু আসানসোলের উপনির্বাচনে সে ভাবে দাগ কাটতেই পারেনি বিজেপি। পর পর দু’বার জেতা আসনে প্রায় তিন লাখ ভোটে হারতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
সেই হার নিয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে ওই মুখ ঘুরবে, সেখানে সেখান তৃণমূলকে মানুষ বেশি বেশি সমর্থন করবেন। অন্য দিকে, বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবে।’’ কুণাল একই সঙ্গে দাবি করেন, ‘‘আদি বিজেপির নেতারাও আঙুল তুলছেন তৎকাল বিজেপি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে।’’
বিজেপির কোনও নেতা এই নিয়ে মুখ না খুললেও ব্যবধান নিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘‘যে ভাবে ভোট হয়েছে তাতে এমন ফল হওয়াই স্বাভাবিক। সন্ত্রাসের আবহে এই ফল কোনও ভাবেই মানুষের স্বাভাবিক রায় নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy