প্রতীকী ছবি
মাটিতে ফেলে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে এক ব্যক্তিকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার দেবীপুর পঞ্চায়েত এলাকার এরকম এক ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। আনন্দবাজার অবশ্য ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনাটি গত মাসের। অভিযোগ, যিনি মারছেন, তিনি এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। যাকে মারা হচ্ছে, তিনি স্থানীয় বাসিন্দা কুন্তল মজুমদার। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার কুন্তল জানান, নিজের জমিতে ফুল-ফলের নার্সারি তৈরির জন্য মাটি ফেলছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় প্রধান সনাতন প্রামাণিক তাঁর কাছে দু’লক্ষ টাকা দাবি করেন। সেই টাকা দিতে না চাওয়ায় তাঁকে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর স্ত্রী পেশায় শিক্ষিকা ও তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্য জুঁই মজুমদারকেও চুলের মুঠি ধরে মাঠিতে ফেলে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। খবর পেয়ে পুলিশ দু’জনকে উদ্ধার করে ফলতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা হয়।
ওই ঘটনায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তুলে ডায়মন্ড হারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবারটি। কুন্তল জানান, নানা ভাবে হুমকি দেওয়ার ফলে তাঁকে বাড়ি ছাড়া হতে হয়। এ দিকে পঞ্চায়েত প্রধানের তরফেও কুন্তল-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করা হয়। সেই মামলায় সোমবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন কুন্তল ও তাঁর বাগানের দুই কর্মী। সনাতনের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি। ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূলের যুবনেতা জাহাঙ্গির খান বলেন, ‘‘ঘটনাটি আমাকে জানানোর পরে যা করণীয় করেছিলাম। তবে দু’পক্ষই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।”
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানেননি ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ওই ঘটনায় দু’পক্ষই মারধরের অভিযোগ করেছিল। তদন্ত চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy