Advertisement
১৮ মে ২০২৪

প্রচার-ফেরত বাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলের

নোয়াপাড়ায় প্রচার সেরে ফেরার পথে তৃণমূলের কর্মীদের বিক্ষোভে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় আটকে রইলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আর বাবুলের সঙ্গে তৃণমূলের এই গোলমালের জেরে ঘণ্টাখানেকের বেশি অবরুদ্ধ হয়ে থাকল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৩
Share: Save:

নোয়াপাড়ায় প্রচার সেরে ফেরার পথে তৃণমূলের কর্মীদের বিক্ষোভে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় আটকে রইলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আর বাবুলের সঙ্গে তৃণমূলের এই গোলমালের জেরে ঘণ্টাখানেকের বেশি অবরুদ্ধ হয়ে থাকল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে।

নোয়াপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রোড শো করে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন বাবুল। মুড়াগাছার কাছে তখন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো-র প্রস্তুতি চলছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। অভিষেক তখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছননি। তৃণমূল কর্মীরা আচমকাই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বলে বাবুলের অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাকে তৃণমূলের যে গুন্ডারা ঘিরে ধরেছিল, তারা অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছিল। রাস্তায় প্রবল যানজট ছিল। যে কোনও কিছু ঘটে যেতে পারত!’’ তৃণমূল-কর্মীরা তাঁকে ‘গো-ব্যাক’ বলতে থাকে বলে বাবুলের অভিযোগ। এবং এই ঘটনাক্রমে রাজ্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘লোকজনকে সরানোর পরিবর্তে পুলিশ আমাকে এমন ভাবে ধাক্কা মেরে সরাতে চেষ্টা করল যেন পুরো ঘটনার জন্য আমি দায়ী।’’ এই বিক্ষোভ ও যানজটের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় তিনি নোয়াপাড়ায় আর একটি মিছিলে পৌঁছতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বাবুল।

মুড়াগাছার কাছে অভিষেকের মিছিলের জন্য যে রাস্তা বন্ধ রয়েছে, তা তাঁকে পুলিশ জানায়নি বলে বাবুলের দাবি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নিজেদের চাকরি বাঁচাতে রাজ্য পুলিশ তৃণমূলের কাছে নিজেদের মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিয়েছে। ওই পথে যে অভিষেকের মিছিল রয়েছে, তা আমায় জানায়নি পুলিশ। নোয়াপাড়ায় অন্য একটি মিছিলে যাতে যেতে না পারি, সে জন্য ওই পথে নিয়ে গিয়েছিল আমায় পুলিশ।’’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে অবশ্য তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘ঘটনাটা আমি জানি না। তাই কিছু বলা কঠিন। তবে শুনে যা মনে হচ্ছে বিজেপির রাহুল সিংহ, বাবুল সকলেই এখন চায়ের দোকানে যাচ্ছেন! এতেই বোঝা যাচ্ছে জনতা নেই ওদের সঙ্গে। হাতে অনেক সময়। তাই চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন ওঁরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE