সাবির সাহা চৌধুরী
দলের ছাত্র সংগঠনের কোচবিহারের সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরীকে টিএমসিপি থেকেই বহিষ্কার করা হল। রবিবার বিকেলে কলকাতায় সে কথা জানান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু জানান, গোটা জেলা কমিটিই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার টিএমসিপি-র ওই জেলা কমিটি তৈরি হবে।
দিনহাটা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র অলকনিতাই দাসকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে সাবিরের। সাবিরের অবশ্য দাবি, ‘‘এই ঘটনার জোর করে রাজনীতি জড়ানো হচ্ছে।’’ ওই খুনের ঘটনায় জড়িয়েছে টিএমসিপি-র জেলা নেতাদের আরও কিছু নামও। পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘কোনও অন্যায়ের সঙ্গে যাদের নাম জড়াবে, তাদের সংগঠনের কোনও স্তরে জায়গা দেওয়া যাবে না।’’
শাসক দল সূত্রে খবর, জেলা রাজনীতিতে সাবির জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। দিনহাটা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র যুব তৃণমূল কর্মী অলকনিতাই দাসকে বৃহস্পতিবার মারধর করা হয়। নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। শনিবার তিনি মারা যান। এর আগে ১৩ জুলাই কোচবিহার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাজিদ আনসারিকে রাস্তায় গুলি করা হয়। ২৫ জুলাই শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। মাজিদ ও অলকনিতাই দু’জনেই যুব তৃণমূলের কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন।
সাবিরকে বহিষ্কার ও টিএমসিপির জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তের পরে জেলার এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ‘‘জেলা পরিষদের সভাধিপতি কে হবেন, তা নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। মনে হচ্ছিল জেলায় দলে যেন কোনও শৃঙ্খলাই নেই।’’ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করলেও রবীন্দ্রনাথবাবু, উদয়নবাবু জানান, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, এটা মেনে নিয়েই সবাইকে কাজ করতে হবে। একই কথা বলেন পার্থপ্রতিমবাবুও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy