ফাইল চিত্র।
কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে টাকা পেয়েছিলেন, কিন্তু কত টাকা পেয়েছিলেন? কেনই বা ওই টাকা এসেছিল তাঁর অ্যাকাউন্টে, তা শুক্রবার ইডির জেরার ফাঁকে লাঞ্চব্রেকে বেরিয়ে জানালেন টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘উনি (কুন্তল) আমাকে একবারই (টাকা) দিয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে একটি গাড়ি কিনেছিলাম আমি। উনি আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।’’ কত টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল? সরাসরি সে কথার উত্তর দেননি বনি। তবে সংবাদ মাধ্যম তাঁকে ৩৫- ৪০ লক্ষ টাকা বলাতে তিনি বলেন, ‘‘ওই রকমই।’’
ইডির সমন পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে একদিন আগেই হাজির হয়েছিলেন বনি। সকালেই তিনি সিজিওতে পৌঁছন। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলাকালীন তিনি বাইরে বেরোন। সেখানেই উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের সম্পর্কের কথা একে একে জানান বনি। বলেন, ২০১৭ সালে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর আলাপ। জিরাটে একটি অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন। এক আয়োজক সংস্থা মারফৎ সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ এসেছিল তাঁর কাছে। সেখানেই কুন্তলের সঙ্গে আলাপ। পরে তা ‘ভাল সম্পর্কে’ গড়ায়। পরে ‘ভাল সম্পর্কের’ জেরেই বনিকে ওই বছরেই গাড়ি কিনতে সাহায্য করেন কুন্তল। তবে বনি জানিয়েছেন, ওই টাকার বিনিময়ে তিনি কাজ করেছেন। ২৫-২৬টি অনুষ্ঠান করেছেন কুন্তলের হয়ে। এমনকি, কুন্তল পরে টলিউডে সিনেমা প্রযোজনা করবেন বলে জানালে, তাতে অভিনয় করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বনি। যদিও বনি জানিয়েছেন, পরে সেই ছবি প্রযোজনার পরিকল্পনা বাতিল করে দেন কুন্তল।
বৃহস্পতিবার বনি যখন সিজিওর বাইরে দাঁড়িয়ে কুন্তলের সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের সম্পর্কের কথা বলছেন, তখনও তাঁর জেরা শেষ হয়নি। বনি জানান মধ্যাহ্ণভোজের বিরতি শেষে আবার ইডির মুখোমুখি হবেন। কিন্তু তার পরে তাঁকে আবার আসতে বলা হবে কি না, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বলে দেন, ‘‘যে টাকা নিয়েছি, তার সমস্ত কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমি দিয়ে দিয়েছি। তা ছাড়া যে অর্থ নিয়েছি, তার বদলে কাজও করেছি। তাই ওই টাকাকে আমার পারিশ্রমিকই বলা যেতে পারে।’’
অবশ্য বনিকে পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা বৃহস্পতিবার দুপুরে আগেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন কুন্তল। তিনি বলেছিলেন, ‘‘বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর ইভেন্টের কাজ করেছে। যে টাকা দিয়েছি, তা ওর পারিশ্রমিক।’’ কিন্তু ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে কী গাড়ি কিনেছিলেন বনি? সেই গাড়ি কি তিনি এখনও ব্যবহার করেন? বনির জবাব, ‘‘ডিসকভারি কিনেছিলাম। উনি নগদে টাকাটা দিতে চেয়েছিলেন। আমিই বলেছিলাম, ‘ব্যাঙ্কে দিন’। আমার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকায় উনি তা-ই করেছিলেন। তবে এখন ওই গাড়ি আমার কাছে নেই। পাঁচ বছর হয়ে যাওয়ায় আমি বিক্রি করে দিয়েছি।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে এর পর দুপুরের খাবার খেতে চলে যান বনি। তবে শেষ পর্যন্ত খাওয়া হয়নি। বিরতি শেষ হলে খাবার না খেয়েই সিজিও কমপ্লেক্সে ফিরে যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy