পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ শুরু করে প্রথমেই 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি শুরু করেন প্রশান্ত। সে বার কর্মসূচি পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব ছিল তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের হাতে। কিন্তু এ বার পরামর্শদাতা প্রশান্ত হলেও, তা পরিচালনার দায়িত্ব থাকছেন তৃণমূল নেতারাই। অন্য দিকে আগামী ৩ মে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন কলকাতার ইএম বাইপাসে তৃণমূলের অস্থায়ী দফতরের উদ্বোধন হবে বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।
মে মাসের ৫ তারিখ থেকে শুরু হতে পারে দিদিকে বলো-২। ফাইল চিত্র
'দিদিকে বলো'-র দ্বিতীয় দফার কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী ৫ মে থেকে তিন ধাপে এই কর্মসূচি রূপায়িত হবে। সেই কর্মসূচির নীল নকশা ঠিক করতে শনিবার দুপুরে ভবানীপু্রের প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের দলীয় দফতরে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। ওই বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রথমে জানা গিয়েছিল, দলের নেতাদের বেফাঁস মন্তব্য রুখতে তৃণমূলের নেতারা এই বৈঠক করবেন। কিন্তু পরে জানা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হলেও, 'দিদিকে বলো ২'-এর কর্মসূচি নিয়েই বেশি সময় আলোচনা হয় বৈঠকে।
বৈঠকে আলোচিত বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের কোনও শীর্ষ নেতা। সূত্রের খবর, এই কর্মসূচি সংক্রান্ত যাবতীয় ঘোষণা করবেন স্বয়ং দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলের নেতারা এই কর্মসূচি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। ৮ মার্চ নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতিতে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি ফের শুরু করার আভাস দেওয়া হয়েছিল। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়িতেও এই কর্মসূচি নিয়ে সংক্ষিপ্ত বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি আগামী দু’মাস সময় নেব। তার পর যদি কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, কারও বিরুদ্ধে খুনখারাপির অভিযোগ থাকে, অত্যাচারের অভিযোগ থাকে, আমি আর একটা সেট আপ তৈরি করব যেমনটা আমি করেছিলাম ‘দিদিকে বলো’-তে। এই নামটা আমি এখন বলছি না। আমরা ঠিক করে আপনাদের জানাব।’’
কর্মসূচির আগাম আভাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘একটা মিসড কল দেবেন। আপনার নাম করে বলবেন যে, আপনি কী চাইছেন বা কোথায় কী ঘটছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি অ্যাকশন নেব। সে অফিসারই হোক, সে কোনও রাজনৈতিক দলই হোক, সে কোনও সাংবাদিকই হোক, সে কোনও বাইরের লোকই হোক।’’ গত বছর বিধানসভা ভোটে জয়ের পর ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা। তাই সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই কর্মসূচি ওই দিনেই শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম পর্যায়ের 'দিদিকে বলো'-র সঙ্গে এ বারের কর্মসূচির ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকছে পরিচালনা পদ্ধতিতে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফল আশানুরূপ না হওয়ায় তৃণমূল প্রশান্তকে তাদের পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করে।
পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ শুরু করে প্রথমেই 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি শুরু করেন প্রশান্ত। সে বার কর্মসূচি পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব ছিল তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের হাতে। কিন্তু এ বার পরামর্শদাতা প্রশান্ত হলেও, তা পরিচালনার দায়িত্ব থাকছেন তৃণমূল নেতারাই। অন্য দিকে আগামী ৩ মে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন কলকাতার ইএম বাইপাসে তৃণমূলের অস্থায়ী দফতরের উদ্বোধন হবে বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy