চার পুরভোটে ৬১ শতাংশ ভোট পেল তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র।
চার পুরসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এল তৃণমূল। গড়ে ৬১ শতাংশ ভোট পেয়ে বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়ি পুরসভায় বিজয়কেতন ওড়াল বাংলার শাসকদল। বিধাননগরে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৭৩.৯৫ শতাংশ। আসানসোলে তাদের প্রাপ্ত ভোট ৬৩.৬১ শতাংশ। চন্দননগরে প্রাপ্ত ভোট ৫৯.৪২ এবং শিলিগুড়িতে প্রাপ্ত ভোট ৪৭.২৪ শতাংশ। গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে সব পুরসভাতেই ভোট বাড়িয়েছে তৃণমূল। বিধাননগরে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বাম ও বিজেপি। কোনও প্রার্থীই জিততে পারে্ননি তাদের। বরং সেখানে একটি ওয়ার্ডে একজন নির্দল ও একটিতে কংগ্রেস প্রার্থী জিতেছেন। তৃণমূল পেয়েছে ৩৯টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের নিরীখে বামেরা দ্বিতীয় হয়েছে। বামফ্রন্টের প্রাপ্ত ভোট ১০.৯৪ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছে ৮.৩৭ শতাংশ। কংগ্রেস পেয়েছে ৩.৪২ শতাংশ।
চন্দননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ বার ভোট হয়নি। ওই পুরসভার ৩২টি ওয়ার্ডে ভোট হয়েছিল। সেখানে ভোট পাওয়ার নিরিখে দ্বিতীয় হলেও, মাত্র একটি আসন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বামেদের। বামফ্রন্টের প্রাপ্ত ভোট ২৭.৩৭ শতাংশ। আর বিজেপি খাতাই খুলতে পারেনি চন্দননগরে। একটি মাত্র আসনে দ্বিতীয় হয়ে তাদের প্রাপ্ত ভোট ৯.৮ শতাংশ। কংগ্রেস একটিও আসন পায়নি। তবে তাদের প্রাপ্ত ভোট ১.৫ শতাংশ।
আসানসোলের ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল ৬৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে ৯১টি আসনে জয়ী হয়েছে। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি পেয়েছে ১৬.৩২ শতাংশ ভোট। সাত জন প্রার্থী জয় পেয়েছেন পদ্ম প্রতীকে। তৃতীয় স্থানে থেকে বামেরা মাত্র দু'টি আসনে জয় পেয়েছে। প্রাপ্ত ভোটের হার ১২.৩৭ শতাংশ। কংগ্রেসের ঝুলিতে তিনটি আসন গেলেও প্রাপ্ত ভোটের হারে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তারা। তাদের প্রাপ্ত ভোট ৪.১২ শতাংশ।
শিলিগুড়ি পুরসভায় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। বিধানসভা যে শঙ্কর ঘোষ বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন, তিনিই ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পরাজিত হয়েছেন। বরং বিধানসভা ভোটের তুলনায় ভোট বাড়িয়ে তৃণমূল পেয়েছে ৪৭.২৪ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি পেয়েছে পাঁচটি আসন। ভোট পেয়েছে ২৩.২৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে বামেরা পেয়েছে চারটি আসন। প্রাপ্ত ভোট ১৮.২৮ শতাংশ। কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জয়ী হয়েছে। তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার ৫.৩২ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy