ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে তাঁদের দু’জনকে নিয়ে জল্পনা বিস্তর। তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে মসনদ দখল করার পরের দিন কংগ্রেসের মঞ্চে হাজির হলেন দু’জনেই। প্রকাশ্যেই এক জন ঘোষণা করলেন, তাঁর সম্পর্কে যা ‘প্রচার’ চলছে, সে সব ঠিক নয়। অন্য জন দাবি করলেন, তাঁর জেলার দু’টি লোকসভা আসনই রাহুল গাঁধীকে উপহার দেবেন!
প্রদেশ কংগ্রেসের সব শিবিরের নেতারাই বুধবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের সমাবেশে হাজির হয়ে ‘ঐক্যের ছবি’ তুলে ধরেছেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন উত্তর ও দক্ষিণ মালদহের দুই সাংসদ মৌসম বেনজির নূর এবং আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরীও। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সমর্থন করার নির্দেশ দিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন মালদহ জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম। তাঁর ‘সহযোগিতা’র কথা বারবারই বলছেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীও। সেই মৌসমই এ দিন কংগ্রেসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কর্মী-সমর্থকদের বলেছেন, তাঁর সম্পর্কে যে সব কথা প্রচার করা হচ্ছে, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের জেলার এক জন শ্রমজীবী মানুষ আফরাজুলকে রাজস্থানে পুড়িয়ে মেরেছিল হিন্দুত্ববাদীরা। রাজস্থানে বিজেপির হারে সারা দেশের মতো এখানকার মানুষও শান্তি পেয়েছেন। আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে পরাস্ত করার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবেন রাহুল গাঁধী। বিজেপিকে হারাতে সব দলকেই কংগ্রেসের নেতৃত্বে লড়াই করতে হবে।’’ অর্থাৎ তৃণমূল বা কোনও দলের নাম না করেই বৃহত্তর জোটের কথা বলেছেন মৌসম।
সাংসদ এবং প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ডালুবাবু ভিড়ে ঠাসা ওই সমাবেশেই মন্তব্য করেছেন, ‘‘কংগ্রেসে জন্মেছি, কংগ্রেসেই মরব!’’ জেলার দুই আসনেই কংগ্রেসের জয়ের আগাম সঙ্কল্পও করে রেখেছেন তিনি। মৌসম, ডালুর জেলা থেকে কংগ্রেসের সব বিধায়কই এ দিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। যা দেখে বাংলায় এআইসিসি-র ভারপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ বলেছেন, ‘‘এমন ঐক্যবদ্ধ ভাবেই জেলা ও ব্লক স্তরে নেতা-কর্মীরা লড়াই করলে কংগ্রেসের জন্য ভাল দিন আসবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy