ধৃত তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্ত রায়। —নিজস্ব চিত্র।
ফের কঠোর বার্তা নবান্নের। বিধাননগরের পর সোনারপুর। আবার গ্রেফতার এক তৃণমূল কাউন্সিলর। এক ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলরকে সোনারপুর থানা বুধবার গ্রেফতার করেছে। সালিশি সভায় ওই কাউন্সিলরের ‘মাতব্বরি’র জেরে চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ রায়। এমনই ্অভিযোগ উঠেছিল। মৃতের সুইসাইড নোটের উপর ভিত্তি করে বুধবার বিকেলে কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করে নিল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বিশ্বজিৎ রায় নামে সোনারপুর থানার সূর্য সেন পার্ক এলাকার বাসিন্দা বছর ছত্রিশের ওই ব্যবসায়ীর মৃতদেহ রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয়। গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের লেখা একটি চার পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। ওই সুইসাইড নোটে তাঁর মৃত্যুর জন্য রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্ত রায়-সহ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে যান বিশ্বজিৎবাবু। এর পরে পুলিশ অনন্তবাবুকে লাগাতার ঘণ্টা চারেক জেরার পরে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: সিন্ডিকেট-জুলুম: ফোন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীরও
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের ব্যবসা করতেন। প্রশান্ত পাঁজা নামে হাওড়ার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ধারে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিয়ে এসে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন। দু’জনের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন চলছিল। কিন্তু প্রশান্তবাবুর অভিযোগ, বছরখানেক ধরে বিশ্বজিতের কাছে ৬০ হাজার টাকা পাওনা তাঁর। একাধিক বার পাওনা মেটানোর জন্য বলা হলেও বিশ্বজিৎ এড়িয়ে যাচ্ছেন। সপ্তাহখানেক আগে ওই ব্যবসায়ী কাউন্সিলর অনন্তবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পরই গত রবিবার দু’পক্ষকে ডেকে সালিশি করেন অনন্তবাবু। মাসিক পাঁচ হাজার টাকা কিস্তিতে আগের ঋণ শোধ করার জন্য বিশ্বজিৎকে প্রস্তাব দেন অনন্তবাবু। বুধবার অবশ্য অনন্তবাবু সালিশি সভায় চাপ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওই দিনের সালিশির প্রস্তাবে বিশ্বজিৎ রাজিও হয়েছিলেন।’’ পুলিশ প্রশান্ত পাঁজাকেও গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy