প্রতীকী ছবি।
গাড়ি বাড়ছে। কিন্তু বাড়ছে না ভাল চালকের সংখ্যা। ‘ভাল’ চালকদের ধরে রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সে কথা মাথায় রেখেই অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি চালু করছে চালকদের নানা সুযোগ-সুবিধে দেওয়ার প্রকল্প। যাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে নিজেদেরকে বন্ধনে জড়িয়ে ফেলেন চালকেরা।
যেমন, উব্রের কথাই ধরা যাক। শুধু চালকদের নানা ‘অফার’ দেওয়াই নয়, তাঁদের পরিবারের জন্যও নানা সুবিধে ঘোষণা করেছে সংস্থা। ‘উব্র সমর্থ’ প্রকল্পে চালকদের স্ত্রীদের সেলাই মেশিন চালানো-সহ বেকারির কাজকর্ম, বিউটিশিয়ান, নার্সিং, হসপিটাল এবং টেলিকম-এর কাজ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রয়েছে ইংরেজিতে কথা বলা এবং নিজেকে পেশাদার হিসেবে গড়ার প্রশিক্ষণও। ওই সংস্থার দাবি, প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেকের কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নেবে তারাই।ব্যবসা করতে চাইলে আর্থিক সাহায্য এবং ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থাও করা হবে। অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা সূত্রের খবর, ৩০ জনকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ‘উব্র স্কলার’ প্রকল্পে চালকদের ৫০ জন বাচ্চার পড়াশোনায় সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
পিছিয়ে নেই ওলা-ও। চালকদের জন্য বিভিন্ন শহরে শুরু হয়েছে ‘ওলা পার্টনার লিগ’। চালকদের গাড়ি চালানোর উপরে নম্বর দেওয়া হবে। নম্বরের উপরে ভিত্তি করে চালকদের গাড়ি, টেলিভিশন, মোবাইল, ল্যাপটপ পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়াও, চালকদের সন্তানকে ক্রিকেট অ্যাকা়ডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। এ ছা়ড়া রয়েছে চালকদের জন্য সস্তায় ওষুধ, ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা। ওলা এবং উব্র— দু’টি অ্যাপ সংস্থাই চালকদের জন্য জীবনবিমা ছাড়াও শুরু করেছে বিভিন্ন পুরস্কারের ব্যবস্থাও।
পরিবহণ দফতরের কর্তাদের কথায়, ‘‘এত দিন পর্যন্ত চালকেরা বাস কিংবা ট্যাক্সি চালাতেন। সে রকম রোজগার ছিল না। অ্যাপ-ক্যাব সেই রোজগারের সংজ্ঞাই পাল্টে দিয়েছে। এ বার চালকদের ধরে রাখতেই বিভিন্ন লোভনীয় প্রকল্প শুরু করেছে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি।’’
সাধারণ ট্যাক্সি মালিক ও চালকদের সংগঠনগুলির দাবি, অ্যাপ-ক্যাবে আগের মতো রোজগার হচ্ছে না চালকদের। সে জন্যই আটকে রাখার চেষ্টা। শাসক দলের ট্যাক্সি সংগঠন শম্ভুনাথ দে-র কথায়, ‘‘আগে চালকেরা বেশি টাকা রোজগারের লোভে ওলা, উব্রের গাড়ি চালাতেন। এখন তো সেই টাকা পাচ্ছেন না। ট্যাক্সিও ক্রমশ কমছে। চালকদের অন্য পেশায় চলে যাওয়া ঠেকতেই এ সব চমক।’’
ওলা, উব্রের কর্তারা অবশ্য বলছেন, ‘‘ড্রাইভারেরা এত পরিশ্রম করছেন পরিবারের জন্য। তাই আমরাও তাঁদের পরিবারের জন্য কিছু করতে চাই। অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy