শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর পরিকাঠামো তৈরি করবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ফাইল চিত্র
শুধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা জেলা সদর হাসপাতালই নয়। গ্রামীণ, মহকুমা হাসপাতাল থেকে শুরু করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও এ বার বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর পরিকাঠামো তৈরি করবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, মানুষ মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল কিংবা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, চিকিৎসার জন্য যেখানেই যান না কেন, সেখানে একশো শতাংশ পরিষেবা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। কয়েক বছর আগে সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে পিপিপি মডেলে কিছু বেসরকারি সংস্থাকে যুক্ত করা হয়েছিল। সরকারি হাসপাতালে যে-সব প্যাথলজিক্যাল, রেডিয়োলজিক্যাল বা অন্য পরীক্ষার সুবিধা মিলত না, সেগুলি ওই সব সংস্থায় কিছুটা কম খরচে করানোর সুযোগ পেতেন রোগীরা। এ বার সেই সব সংস্থার উপরে নির্ভরতা কমাতে সরকারি স্তরে সব চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্রেই সমস্ত ধরনের পরীক্ষার বন্দোবস্ত করছে রাজ্য সরকার।
বুধবার স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা সার্কুলারে জানানো হয়েছে, ছোট হাসপাতালগুলিকে ধীরে ধীরে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবরেটরির উপরে নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে হবে। তার বদলে নিজস্ব পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে হাসপাতালেই। তার জন্য যন্ত্রপাতি, কর্মী-সহ সব কিছু দিয়েই সহযোগিতা করা হবে। তবে সব স্তরের পরিষেবা কেন্দ্রে যে সব পরীক্ষার পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে, তা নয়।
হেমাটোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, সেরোলজি, প্যাথলজি, রেডিয়োলজি, কার্ডিয়োলজি, এন্ডোস্কোপি, রেসপিরেটরি, চোখ, নাক-কান-গলা বিভাগের শতাধিক পরীক্ষাকে ‘এসেনশিয়াল’, ‘ডিজ়ায়ারেবল’ ও ‘স্পেশালাইজ়ড’— এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। কোন স্তরের চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্রে কোন শ্রেণির পরীক্ষা হবে, তা রোগের ধরন দেখে নির্দিষ্ট করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যেমন, হিমোগ্লোবিন, সুগার, ম্যালেরিয়া, গর্ভধারণ ইত্যাদি পরীক্ষার সুযোগ মিলবে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কালাজ্বর (সংক্রমণপ্রবণ এলাকায়), চোখের পরীক্ষা, কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট এবং অন্যান্য পরীক্ষা করা যাবে। আবার কোভিড র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সুযোগ মিলবে ব্লক হাসপাতালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy