—ফাইল চিত্র।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে ধাঁচে তদন্ত করেছিল, প্রায় তেমন ভাবেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরির ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে রাজ্য পুলিশ মহলে।
কমিশন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সাধারণ মানুষের বক্তব্য শুনেছিল। কার্যত অভিযোগ শোনার তেমন পদ্ধতিরই পরিকল্পনা এ বার চলছে জেলা পুলিশ স্তরে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হলে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অভিযোগকারীদের বক্তব্য শোনা হবে। ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে, জেলাগুলির থেকে সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই চেয়েছে সরকার। ফলে এই পরিকল্পনা সেই রিপোর্ট তৈরির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, যে রিপোর্ট কমিশনের থেকে পাওয়া গিয়েছে, তাতে বেশ কিছু বক্তব্য বোঝা যাচ্ছে না। যেমন, ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে বলা হচ্ছে, অথচ কমিশনের রিপোর্টের সংশ্লিষ্ট অংশটি হাতে পায়নি সরকার। পুলিশ মহলের অনেকেই জানাচ্ছেন, ৪৩০ পাতার ‘অ্যানেকসার-আই’ হাতে না-পেলে এই বিষয়টি বোঝা মুশকিল। কারণ, ভোট-পরবর্তী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি রাজ্যে। আবার কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে প্রায় আড়াইশোটি ‘কেস ডিটেলস’ রয়েছে। অভিযোগকারীর সংখ্যা আবার দু’হাজারের কাছাকাছি। পুলিশ-কর্তাদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, সম্ভবত সে কারণেই মানুষের বক্তব্য শোনার চিন্তা করা হচ্ছে। শীঘ্রই আদালতে রাজ্যকে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে। জেলা পুলিশের থেকে পাওয়া রিপোর্ট সেই বক্তব্য তৈরিতে কাজে লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বস্তুত, ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে অভিযোগ বরাবরই খণ্ডন করে এসেছে রাজ্য সরকার। তাদের বক্তব্য, ভোটের আগে এবং ভোটের সময় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তখন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ছিল নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাই সরকারের সরাসরি এ ব্যাপারে কিছু করার ছিল না। নতুন মন্ত্রিসভা তৈরি হওয়ার পরেই হিংসা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করে রাজ্য সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy