মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়ারা কী কী বাড়তি সুযোগসুবিধা পাবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার সময় বাড়তি সুযোগসুবিধা দিতে হবে। শুক্রবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোয় প্রতিটি সরকারি স্কুলে এই বন্দোবস্ত আদৌ করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি।
মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়ারা কী কী বাড়তি সুযোগসুবিধা পাবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন তাঁরা। সেখানে ওই পরীক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সময়ের অতিরিক্ত সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এ ছাড়া, উত্তরপত্র লেখার জন্য পরীক্ষার্থীকে প্রয়োজনে স্কেচ পেন, ম্যাগনিফাইং গ্লাস ব্যবহার করতে দেওয়া, ইন্টারপ্রেটর বা রাইটারের বন্দোবস্ত করা-সহ নানা বাড়তি সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিল পর্ষদ। তবে শুক্রবারের বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যের সমস্ত সরকার স্বীকৃত এবং অনুদানপ্রাপ্ত-সহ পর্ষদের সমস্ত স্কুলেই এই বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে। পর্ষদ জানিয়েছে, শুধু মাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় নয়, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতেও ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষার সময়ও বিশেষ সুযোগ দিতে হবে ওই পরীক্ষার্থীদের।
বাস্তবে এই বন্দোবস্ত করা কি আদৌ সম্ভব? বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে এ প্রশ্ন তুলেছেন ওই সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘এটি অত্যন্ত সাধু উদ্যোগ। তবে তার বাস্তবায়ন করা কঠিন। গত দশ বছরে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষার পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়াদের এ ধরনের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিতে গেলে পরিকাঠামোর প্রয়োজন। মাধ্যমিকের সময় বোর্ড এর ব্যবস্থা করতে পারে। তবে স্কুলে স্কুলে পরীক্ষার সময় তা কার্যকর করা কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy