Advertisement
১৭ মে ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে শিক্ষা সম্মেলনে যাবে কি না, দোটানায় ওয়েবকুটা

অনেক আগেই আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবং শিক্ষা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্মেলনটা ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:১২
Share: Save:

অনেক আগেই আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবং শিক্ষা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্মেলনটা ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। সেই সভায় তারা যোগ দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে বাম নেতৃত্বাধীন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুটা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা জানিয়েছে, তারা কোনও আমন্ত্রণ এখনও পায়নি। এলে তারা যাবে কি না, ভাববে।

উচ্চশিক্ষা জগতের সকলের সঙ্গে আগামী ৭ জানুয়ারি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের খবর, রাজ্যে শিক্ষার মান উন্নয়নের পথ খুঁজতেই সম্মেলন ডাকা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রের নানা সমস্যার মোকাবিলা করে কী ভাবে বাংলাকে শিক্ষার শীর্ষে নিয়ে যাওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সেই বিষয়েই আলোচনা চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ রাজ্যকে ‘উচ্চশিক্ষা হাব’ করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক মতে বিশ্বাসী শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁদের সকলেরই মুখোমুখি হতে চান তিনি।

গত মাসে ওয়েবকুটার বার্ষিক সম্মেলনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৭ জানুয়ারির ওই সম্মেলনে সকলকে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। শিক্ষকেরা যাতে অবশ্যই যান, তা দেখার জন্য উচ্চশিক্ষা দফতর অধ্যক্ষদের নির্দেশ দিয়েছে। ডিপিআই-এর পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘ওই সম্মেলনে যোগদানের বিষয়টিকে যেন শিক্ষকদের কাজের অঙ্গ (‘অন ডিউটি’) হিসেবেই ধরা হয়। শিক্ষকেরা যাতে ওই সভায় যোগ দিতে পারেন, তার জন্য শিক্ষকদের যাতায়াতের ব্যবস্থাও করতে বলা হচ্ছে কলেজের অধ্যক্ষদের।’ অর্থাৎ ৭ জানুয়ারিটা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে ‘কাজের দিন’ই থাকছে এবং সে-দিন তাঁদের বিশেষ কাজটা হবে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মেলনে যোগ দেওয়া।

মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষার বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার জন্য যে-সম্মেলন ডেকেছেন, তাতে যোগদান নিয়ে ওয়েবকুটার এত সংশয় কেন?

‘‘উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এই রাজ্যে যে-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমাদের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মেলনে যাওয়া সম্ভব হবে কি না, জানি না। সরকার নিজেই আমাদের যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিচ্ছেন,’’ শুক্রবার বলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ। তাঁর অভিযোগ, সরকার যে-ভাবে বিল এনে শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তা ছাড়া ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে হিংসার যে-সব ঘটনা ঘটে চলেছে, সরকারের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করার প্রকৃত চেষ্টা দেখা যায়নি বলেই মনে করেন শিক্ষক সংগঠনের ওই নেতা। এর সঙ্গে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পুনর্নিয়োগ স্থগিত রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে।

নির্দেশটি যে-ভাষায় দেওয়া হয়েছে, তারও সমালোচনা করেছে ওয়েবকুটা। ‘‘স্কুলের বাচ্চাদের মতো কলেজ-শিক্ষকদের এ ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মেলনে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ আগে কখনও দেওয়া হয়েছে বলে শুনিনি,’’ কটাক্ষ শ্রুতিনাথবাবুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

WBCUTA Education Meet
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE